সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করার স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রকল্প (Stand-Up India) সাধারণ জনগোষ্ঠীর স্বপ্ন পূরণের মূল ভিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রকল্প শুধুমাত্র স্বনির্ভর হওয়ার দিশা দেখাচ্ছে না, বরং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষরা আত্মনির্ভর হওয়ারও সুযোগ পাচ্ছে।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় দেওয়া এক লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, 2022 সালের এপ্রিল মাস থেকে 2025 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত, এই তিন অর্থবর্ষে এসসি, এসটি এবং মহিলা সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রায় 28,996.15 কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন শুরু করা হয়েছিল স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া?
বলে দিই, এই প্রকল্প 2016 সালের 5 এপ্রিল চালু হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল প্রতিটি ব্যাঙ্কের শাখা থেকে অন্তত একজন তপশিলি জাতি, তপশিলি জনজাতি এবং একজন মহিলা উদ্যোগপতিকে 10 লক্ষ টাকা থেকে 1 কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া। তবে শর্ত মানতে হত একটাই। তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে গ্রীনফিল্ড এন্টারপ্রাইজ, অর্থাৎ একেবারে নতুন উদ্যোগ, যা উৎপাদন, পরিষেবা খাতে প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোগের জন্যও মিলবে এই ঋণ।
তিন বছরে কারা কত টাকা পেল?
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এসসি অর্থাৎ তপশিলি জাতির মধ্যে মোট ঋণ অ্যাকাউন্টের সংখ্যা 30,145 এবং তাদের বরাদ্দ ঋণের পরিমাণ 6437.59 কোটি টাকা। পাশাপাশি এফটি অর্থাৎ তপশিলি জনজাতিদের মোট ঋণ অ্যাকাউন্টের সংখ্যা 9625 এবং এদের ঋণের পরিমাণ 2037.15 কোটি টাকা।
ওদিকে মহিলা উদ্যোগপতিদের মোট ঋণ অ্যাকাউন্টের সংখ্যা 86,738। আর এদের জন্য মোট বরাদ্দ ঋণের পরিমাণ 20521.41 কোটি টাকা। ফলে এই রিপোর্ট দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই প্রকল্পে সবথেকে বেশি উৎসাহ পেয়েছেন মহিলারা। ফলত দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোতে নারীদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো।
The Stand-up India Scheme was launched on 05th April, 2016. The objective of the Stand-Up India Scheme was to provide loans from Scheduled Commercial Banks (SCBs) of value between Rs.10 lakh and Rs.1 Crore to at least one Scheduled Caste (SC) or Scheduled Tribe (ST) borrower and… pic.twitter.com/6wL0buAjDM
— ANI (@ANI) July 22, 2025
ঋণের পাশাপাশি রয়েছে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও
তবে শুধুমাত্র ঋন দেওয়া নয়। বরং www.standupmitra.in পোর্টালের মাধ্যমে এই প্রকল্পের জন্য যাবতীয় সাহায্যও করা হয় সাধারণ মানুষকে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ, ব্যবসা শুরু করার জন্য তথ্য ও গাইডলাইন, ঋণের জন্য আবেদন পত্র পূরণে সহায়তা, জেলা শিল্প কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় তথ্য সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা মিলে।
আরও পড়ুনঃ ফের ১০০০ টাকা বাড়ল সোনার দাম, রুপোর দরও ১২৫০ টাকা ঊর্ধ্বগতি! আজকের রেট
আসলে ভারতের মধ্যে সবথেকে বড় সমস্যা বেকারত্ব। আর এই প্রকল্প বিশেষ করে সেই সমস্ত মানুষদের জন্য, যারা ব্যাঙ্ক থেকে সহজে ঋণ নিতে পারে না। বিশেষ করে নারী, তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মানুষজন, যারা অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে, তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |