সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দরিদ্র সীমার নিচে বসবসা করা পরিবারগুলির মেয়ের বিয়ে দেওয়া অনেক সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আর সেই সমস্যাকে লাঘব করতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য চালু করেছে মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ যোজনা (Kanya Vivah Scheme)। হ্যাঁ, এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে সরাসরি 50 হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা মিলছে। আর এর মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং আরো নানানরকম সুবিধা।
কী কী সুবিধা মেলে এই প্রকল্পে?
মধ্য প্রদেশ সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় যে সমস্ত পরিবারগুলি আবেদন করে, তাদের মেয়েদের সরকার নগদ অর্থসহ বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র দিয়ে সহায়তা করে থাকে। সেগুলি হল-
- প্রথমত, 50 হাজার টাকা সরাসরি কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়, যা দিয়ে প্রয়োজনীয় খরচ মেটানো যায়।
- দ্বিতীয়ত, 5 হাজার টাকার গৃহস্থালির সামগ্রী দেওয়া হয়, যা নবদম্পতির প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটায়।
- 32 ইঞ্চি রঙিন টিভি দেওয়া হয়।
- রান্নার সুবিধার জন্য গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়।
- লোহার আলমারি, খাট, প্রেসার কুকার, দেওয়াল ঘড়ি, ডাইনিং টেবিল, সমস্ত কিছুই দেওয়া হয়।
- এমনকি বিয়ের পোশাক এবং আনুষ্ঠানিক সমস্ত সামগ্রী দেওয়া হয়, যাতে বিয়ের দিন কোনোরকম ঘাটতি না থাকে।
কারা এই সুবিধা পায়?
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে অবশ্যই কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। প্রথমত, কন্যাকে অবশ্যই ভারতের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিয়ের সময় মেয়ের বয়স অবশ্যই কমপক্ষে 18 বছর এবং ছেলের বয়স 21 বছর হতে হবে। আর এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে গণবিবাহে অংশগ্রহণ করতে হয়। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা মেলে না।
এমনকি ডিভোর্স প্রাপ্ত মহিলারাও এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারে, যদি তাদের কাছে বৈধ বিবাহ বিচ্ছেদের সার্টিফিকেট থাকে তবে। হ্যাঁ, আবেদনপত্র জমা দিতে হয় বিয়ের অন্তত 15 দিন আগে।
আবেদন কীভাবে করবেন?
এই প্রকল্পে আবেদন করার পদ্ধতিও বেশ সহজ। যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান, তাদেরকে স্থানীয় পৌরসভা বা পঞ্চায়েত অফিস থেকে প্রথমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়। এরপর সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হয়। এরপর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর প্রশাসনিক স্তরে যাচাই-বাছাই করা হবে। যাচাইয়ের পর নির্ধারিত তারিখে গণবিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। আর সেখানেই নগদ টাকা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হাওয়া বদল! পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পথে POK বাসিন্দারা, তুমুল বিক্ষোভ
কী কী কাগজপত্র লাগবে?
এই প্রকল্পের পেতে গেলে অবশ্যই কন্যা এবং পুত্রের আধার কার্ড দরকার হয়, জন্ম সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়, জাতিগত প্রমাণপত্র দরকার হয়, সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগে, বিবাহ বিচ্ছেদের শংসাপত্র লাগে, কন্যার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ লাগে এবং রেজিস্টার্ড বিবাহ কার্ড প্রয়োজন পড়ে
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |