সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ধনী পরিবার বলতে একসময় ইউরোপ বা আমেরিকার নাম মাথায় আসতো। কিন্তু এখন দৃশ্যটা পুরোই বদলে গেছে। এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলে একাধিক পরিবার এখন বিশ্বে ধনীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এশিয়ার শীর্ষ পাঁচ ধনী পরিবারের (Top 5 Richest Family in Asia) তালিকায় দেখা যাচ্ছে প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের আম্বানি পরিবার। এখানেই শেষ নয়, শীর্ষ ২০-তে ভারতের আরও চারটি পরিবার রয়েছে। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হল, এই তালিকায় আদানি পরিবারের নাম নেই।
১) আম্বানি পরিবার (ভারত)
আম্বানি পরিবারের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিলাসবহুল জীবনযাত্রা আর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের বিশাল সাম্রাজ্য। তাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৬ সালে, যখন মুকেশ আম্বানির বাবা ধিরুভাই আম্বানি ছোট্ট একটি টেক্সটাইল কারখানা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আম্বানি পরিবার পেট্রোকেমিক্যাল, টেলিকম, রিটেইলস প্রভৃতি ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করেছে। বর্তমানে আম্বানি পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৯০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বিশ্বের অন্যতম ধনী প্রতিষ্ঠান এবং বর্তমানে এশিয়ার সবথেকে ধনী পরিবার।
২) শেরাভানন্ত পরিবার (থাইল্যান্ড)
থাইল্যান্ডের শেরাভানন্ত পরিবার এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী পরিবার হিসেবে উঠে এসেছে। এই পরিবারের ব্যবসা শুরুটা হয়েছিল একদম ছোট পরিসরে। ১৯২১ সালে চিয়া শেরাভানন্ত এবং তার ভাই একসঙ্গে সবজির ব্যবসা শুরু করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বীমা, টেলিকম, পশুখাদ্য, রিটেইলস ইত্যাদি ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করে এই কোম্পানি। তাদের ব্যবসা শুধুমাত্র থাইল্যান্ডে সীমাবদ্ধ নয়, এটি ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চিনেও। শেরাভানন্ত পরিবারের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৪২.৬ বিলিয়ান মার্কিন ডলার।
৩) হরটোনো পরিবার (ইন্দোনেশিয়া)
ইন্দোনেশিয়ার হরটোনো পরিবার এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তাদের ব্যবসার মূল ভিত্তি তৈরি হয়েছিল ১৯৩০-এর দশকে। প্রথমে তারা সিগারেটের ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। পরবর্তীতে এই পুঁজি কাজে লাগিয়ে সেন্ট্রাল ব্যাংক এশিয়া অধিগ্রহণ করে। আজকের দিনে এই পরিবার ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ধনী পরিবার হিসেবে পরিচিত। এই পরিবারের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৪২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৪) মিস্ত্রী পরিবার (ভারত)
এই তালিকায় আবারও চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারতের মিস্ত্রী পরিবার। ভারতের অন্যতম পুরনো শিল্পগোষ্ঠী শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের মালিক এই পরিবার। ১৮৬৫ সালে এই পরিবারের ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু হয়েছিল, যা আজ ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ, আবাসন, পরিকাঠামো ইত্যাদি দিকে আধিপত্য বিস্তার করেছে। এই পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৩৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৫) কিওক পরিবার (হংকং)
তালিকার পঞ্চম স্থানে আছে হংকং-এর কিওক পরিবার। এদের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান সান হাং কাই প্রপার্টিজ হংকংয়ের অন্যতম লাভজনক ব্যবসা। যদিও পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং আইনি সমস্যার কারণে বর্তমানে পরিবারে কিছুটা ফাটল ধরেছে। তবে বর্তমানে রেমন্ড কিওক সান হাং কাই প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই পরিবারের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুনঃ বিরাট চাহিদা, এক কামরায় মাত্র ৫০০০ টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা, প্রতিমাসে হবে মোটা আয়
তবে সবথেকে অবাক করা বিষয় হল, শীর্ষ ২০-তেও নেই আদানি পরিবারের নাম। অথচ ভারতের আরও চার পরিবার এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। যেমন ৭ নম্বরে রয়েছে জিন্দল পরিবার (ওপি জিন্দল গ্রুপ), ৯ নম্বরে রয়েছে বিড়লা পরিবার (আদিত্য বিড়লা গ্রুপ), ১৩ নম্বরে রয়েছে বাজাজ পরিবার এবং ১৯ নম্বরে রয়েছে হিন্দুজা পরিবার l
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |