TDS থেকে বাড়ি বিক্রি, মিউচুয়াল ফান্ড! ৬ দশকের নিয়ম বদল নতুন আয়কর বিলে

Published on:

Union Finance Ministry introduces new Income Tax Bill in Parliament

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বদলাচ্ছে ভারতের আয়কর আইন। সদ্য সংসদে নতুন আয়কর বিল (Income Tax Bill) পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই সাথে দেশের করদাতাদের স্বার্থে নতুন আয়কর বিলটি পোর্টালে আপলোড করে দিয়েছে আয়কর দফতর। কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, এই নতুন বিল একবার চালু হয়ে গেলে, সম্পূর্ণ নতুন আয়কর আইনে মামলা মোকদ্দমা থেকে রেহাই পাবেন করদাতারা। পাশাপাশি পোয়াতে হবে না কোনরকম আইনি ঝক্কিও।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

আমজনতার স্বার্থে সরল বিল আনল কেন্দ্র

সংসদে অধিবেশন চলাকালীন অর্থমন্ত্রীর নির্মালা বলেন, 1961 সাল থেকে চলা পুরনো আয়কর আইন বদলাতে নতুন বিল আনা হয়েছে। এই নতুন বিলটিতে যেহেতু ধারার সংখ্যা অনেকটাই কম তাই পোর্টালে ঢুঁ মেরে পুরনো ধারাটি উল্লেখ করলেই তার যাবতীয় বিষয়বস্তু নতুন বিলের কোন ধারায় রয়েছে তা দেখতে পাবেন করদাতারা। বেশকিছু রিপোর্ট মারফত খবর, পুরনো আয়কর আইনের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে একেবারে সাধারণ মানুষের স্বার্থে ও করদাতাদের কথা চিন্তা করে সহজ-সরল বিল পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

নতুন বিলে একাধিক বদল

সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নতুন বিলটিতে একেবারে সহজ সরল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সাথে বিলে উল্লিখিত শব্দের সংখ্যাও কমিয়ে এনেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি মুছে ফেলা হয়েছে হাজারেরও বেশি অনুবিধি ও ব্যাখ্যা। তবে সাধারণ মানুষ যাতে কর দেওয়ার আগে আইনি ব্যবস্থাপনাগুলি সহজে বুঝতে পারেন তার জন্য আয়করের হিসেব সহজ করতে সারণির সংখ্যা 18 থেকে 57 করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা। একই সঙ্গে, করের হিসেব বুঝতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য বিলে বেশ কিছু সূত্র বা ফর্মুলা দিয়েছে অর্থমন্ত্রক।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বলা বাহুল্য, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের হাত ধরে সংসদে পেশ হওয়া নতুন বিলটিতে রয়েছে 23টি অধ্যায় এবং 16টি তফশিল। নতুন বিলে রাখা হয়েছে 536টি সংশোধিত ধারা। যেখানে পুরনো আইনে ধারার সংখ্যা ছিল 819। বলে রাখি, কেন্দ্রের এই নতুন আয়কর বিলটি 622 পৃষ্ঠার। যেখানে বর্তমান আইনটি 823 পাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে।। যদিও অধ্যায় ও তফশিলের ক্ষেত্রে কোনও বাড়তি বদল আনা হয়নি অর্থমন্ত্রীর তরফে।

নতুন বিলে সহজ হয়েছে কৃষি জমির সংজ্ঞা

কেন্দ্রের নতুন বিল সংসদে পেশ হতেই বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের দাবি, পুরনো আইনের তুলনায় এই নতুন বিলে কৃষি জমির ব্যাখ্যা যথেষ্ট সহজ হয়েছে। যেখানে বর্তমান আইনে এই সংজ্ঞা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হয় না, সেই পর্বে দাঁড়িয়ে, আমজনতার কথা ভেবে কাকে কৃষি জমি বলা হয়, সেটা একেবারে সহজ ভাষায় এবং অল্প শব্দে বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই সাথে গত আইনের তবু শব্দের বিকল্প হিসেবে নতুন বিলে যাই হোক না কেন শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও তা সব ক্ষেত্রে নয়।

কীভাবে পুরনো আইনের ধারা গুলি দেখবেন?

আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কোনও করদাতা পুরনো আইনের ধারা গুলি দেখতে চান তবে সেক্ষেত্রে আয়কর পোর্টালে ঢুকে সেখান থেকে ড্রপ ডাউন মেনু বেছে নিতে হবে। এবার যা দেখতে চাইছেন সেটি বেছে নিন। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নতুন বিলের কোন ধারায় রয়েছে তা উল্লেখ করার পরই স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। সেই সাথে জানা যাবে আইনের ধারাটির ব্যাখ্যাও। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য প্রতিটি ধারার পাশে টেবিল ফরম্যাটে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

নতুন বিলে মূল্যায়ন বছর ও পূর্ববর্তী বছরের ব্যাখ্যা

আয়কর দফতর সূত্রে খবর, পুরনো আইনে আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন বছর এবং পূর্ববর্তী বছর শব্দ দুটি ব্যবহার করা হতো। তবে নতুন বিলে পূর্ববর্তী বছর বলতে বোঝাবে যে সময়কালে করদাতা আয় করবেন এবং মূল্যায়ন বছর বলতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অর্জিত আয়ের পরবর্তী বছর। এক কথায় আগের আইনের তুলনায় এই নতুন বিলে যাবতীয় ব্যাখ্যা অনেকটাই সরল হয়েছে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি একটি অর্থ বছরের যে সময়ে আয় করবেন তাকেই বলা হবে করবর্ষ। এর ওপর ভিত্তি করেই ঠিক হবে তাঁর আয়কর। উল্লেখ্য, নতুন বিলের দৌলাতে বদল আসবে টিডিএসের একাধিক নিয়মেও।

বাড়ি বিক্রি থেকে মিউচুয়াল ফান্ডের আয়করে বদল

বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, বাড়ি কেনাবেচা থেকে শুরু করে বন্ড শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত আয়ের মধ্যে এতদিন করের বিষয়টি 54 এবং 54 ইসি ধারা মেনে ধার্য করা হতো। এবার নতুন বিলে সেই নিয়মে বদল এসেছে। পুরনো নিয়ম বদলে সংসদে পেশ হওয়া বিলে 54 সংখ্যার জায়গায় আয়কর ধার্য হবে 82 এবং 85 ধারা মেনে।

আরও পড়ুন: চোট পেয়ে কাতরাচ্ছেন টিম ইন্ডিয়ার তুরুপের তাস! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বিরাট ধাক্কা

কবে নাগাদ পাশ হবে এই বিল?

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের একটি সূত্র বলছে, আমজনতার স্বার্থে একেবারে সরল ভাষায় প্রকাশিত বিলটি চলতি বছরেই সংসদে পাস হতে পারে। তবে বিল পাস হলেও 2025 অর্ধবর্ষে সেটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মনে করা হচ্ছে, বিলটি পাস হয়ে যাওয়ার পর সেটি আগামী বছর অর্থাৎ 2026 সালের এপ্রিলের মধ্যেই কার্যকর হবে। যদিও এ বিষয়ে সংসদে আলোচনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group