শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ফের একবার রেকর্ড গড়ল ভারতীয় টাকা (Indian Rupee)। না তবে ভালোর জন্য নয়, এবার ভারতীয় টাকার মান এক ধাক্কায় অনেকটাই নেমে গিয়েছে। জানলে অবাক হবেন, মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি ৮৫.৮৪ এর ঐতিহাসিক সর্বনিম্নে নেমেছে। এই ঘটনা শুধু সরকারের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শীঘ্রই বড়সড় পদক্ষেপ নিতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)।
মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতীয় টাকা!
ভারতীয় রুপির দুর্বলতার প্রভাব পড়তে পারে দেশের অনেক খাতে। ভারতীয় রুপির পতনের তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর। কারণ ভারত অপরিশোধিত তেল আমদানি করে এবং দুর্বল রুপি এই আমদানিগুলিকে আরও ব্যয়বহুল করে তোলে। ফলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডিজেলের উচ্চমূল্য সরবরাহ ব্যয়ও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা মুদ্রাস্ফীতির চাপকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
দাম বাড়বে জিনিসপত্রের?
জ্বালানি ছাড়াও ডাল ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বাড়তে পারে। ভারত এই পণ্যগুলির জন্য আমদানির উপর প্রচুর নির্ভর করে এবং দুর্বল রুপির অর্থ দেশীয় বাজারে উচ্চতর ব্যয়। এটি পরিবারের বাজেটের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে কারণ ভোক্তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য ক্রমবর্ধমান মূল্যের মুখোমুখি হতে হতে পারে।
রুপির মূল্য পতন বিদেশে পড়াশোনারত ভারতীয়দেরও প্রভাবিত করে। বিদেশে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীরা উচ্চতর ব্যয়ের মুখোমুখি হবে কারণ ব্যয় করা প্রতিটি ডলারের জন্য তাদের আরও অর্থের প্রয়োজন হবে। এতে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ওপর। ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দুর্বলতার কিছু সুবিধা রয়েছে। দুর্বল রুপি বিদেশি পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য সম্ভাব্য সাশ্রয় প্রদান করতে পারে ।