পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ রাজ্যের দরিদ্র তথা আর্থিকভাবে অনগ্রসর মানুষদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় লক্ষীর ভান্ডার যার মাধ্যেম প্রতিমাসে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০০০-১২০০ টাকা ঢুকে যায়। তবে রাজ্যের শ্রমিক ও তাদের পরিবারের আর্থিক সুরক্ষার কথা ভেবেও বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয় সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে। আজকের প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কেই জানাবো আপনাদের।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা । Samajik Suraksha Yojana
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে সমস্ত মানুষেরা কাজ করেন তাদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা চালু করা হয়েছে। যেখান নাম নথিভুক্ত করলে প্রতিমাসে ৫৫ টাকা করে পাওয়া যাবে। তবে এই প্রকল্পের জন্য আলাদা আলাদা করে কোনো টাকা দিতে হবে না। সরকারের তরফ থেকেই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে। এই টাকা জমতে থাকবে এবং অবসরের সময় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। এমনকি কর্মীরা অবসরের সময় ১০০০ টাকার মাসিক পেনশনও পেতে পারেন।
২ লক্ষ টাকার আর্থিক নিরাপত্তা
এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত থাকা কোনো ব্যক্তি যদি মারা যান তাহলে সাধারণভাবে মৃত্যু হলেও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া যদি কোনো দুর্ঘটনার কারণে শারীরিক অক্ষমতা যেমন চোখের ক্ষতি, পায়ের ক্ষতি বা শারীরিক বিকলঙ্গতা দেখা যায় তাহলে ৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর যদি দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হয় তাহলে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন সামাজিক সুরক্ষা যোজনাতে?
মূলত যারা চাবাগান এলাকার মানুষ অথচ চা বাগানে কাজ করেন না। অন্য কোনো ধরণের পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন তাদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তবে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত যে কোনো ব্যক্তিই এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে আর বছরে কমপক্ষে ৯০ দিন কাজ করে থাকতে হবে।