বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: কোটি টাকার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই! তবে সেই স্বপ্ন সফল হওয়ার গল্প রয়েছে খুব কম লোকেরই। আজ জানবো তেমনই এক কোটিপতির খবর। যাঁর দিন আনা দিন খাওয়ার সংসারে লক্ষীলাভ হয়েছে IPL-র হাত ধরে।
হ্যাঁ, ড্রিম ইলেভেনে (Dream 11) টিম বানিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানার গোয়াগাঁও 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের গেদরীগাঁও ডাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ মাজহারুল ইসলাম। আর সেই ড্রিম টিমই তাঁকে রাতারাতি কোটিপতি বানিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, একেবারে নামমাত্র খরচে ড্রিম ইলেভেন টিম বানিয়ে 4 কোটি টাকা জিতেছেন মাজারুল। যেই খবর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হই হই পড়ে যায়।
মাত্র 39 টাকাতেই 4 কোটি জিতলেন যুবক
এ যেন লটারিকেও হার মানাবে। মাত্র 30 টাকায় কোটিপতি হওয়ার খবর শোনা যায় অহরহ, যদিও সেই যাত্রায় 30 টাকার ডিয়ার লটারির টিকিটে 1 কোটি টাকা জেতেন অনেকেই, তবে এ যেন সেই পুরস্কারের কয়েকগুণ! হ্যাঁ, জানা গিয়েছে, মাত্র 39 টাকা খরচ করে কলকাতা বনাম দিল্লির ম্যাচে 11 জন প্লেয়ারকে নিয়ে ড্রিম টিম বানিয়েছিলেন মাজারুল।
পরবর্তীতে খেলা শেষ হতে দেখেন তাঁর প্লেয়াররা সকলেই ভাল খেলেছে। এরপরই চোখ পড়ে টপারদের তালিকায়, মাজহারুল দেখতে পান তাঁর টিম প্রথম পুরস্কার জিতেছে। আর সেই দৃশ্য চাক্ষুষ করতেই চোখ কপালে উঠে তাঁর। নিয়ম মতো পুরস্কার এর অর্থ অর্থাৎ 4 কোটি টাকা থেকে ট্যাক্স কাটার পর বাকি অর্থ জমা হয়ে যায় তাঁর ড্রিম ইলেভেন অ্যাকাউন্টে।
সূত্রের খবর, প্রাপ্য অর্থ অর্থাৎ 4 কোটি টাকা তুলতে গিয়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল মাজারুলের। কেননা, গ্রামের একটি ব্যাঙ্কে জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট ছিল তাঁর। আর সেই কারণেই ওই বিপুল পরিমাণ ধনরাশি মাজারুলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে উইথড্রল করা যাচ্ছিল না।
গ্রাম প্রধানের সহায়তায় প্রাপ্য অর্থ ঘরে তুলেছেন মাজারুল
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রামের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকায় কোটি টাকার বিপুল অর্থ তুলতে পারছিলেন না তিনি। আর এরপরই গত বুধবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিনকে সাথে নিয়ে গোয়ালপোখর থানায় উপস্থিত হন মাজারুল। শেষ পর্যন্ত পুলিশ আধিকারিকদের সহায়তায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকা ট্রান্সফার করেন ইসলাম।
কোটি টাকা দিয়ে কী করবেন মাজারুল?
কলকাতা বনাম দিল্লির ম্যাচে 4 কোটির অর্থ পুরস্কার পাওয়ার পর আনন্দ যেন ধরছেই না উত্তর দিনাজপুরের ওই যুবকের। মূলত নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারে লক্ষী লাভ হওয়ায় আগামী দিনগুলো পরিবারকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকার ইচ্ছে রয়েছে মাজারুলের। সূত্রের খবর, মাজারুলের বাবা পেশায় একজন কৃষক। মা গৃহবধূ।
অবশ্যই পড়ুন: আদৌ টিম ইন্ডিয়ায় খেলতে পারবেন বৈভব সূর্যবংশী! কী বলছে ICC-র নিয়ম? বুঝে নিন
মাজারুল নিজেই জানিয়েছেন, গত 1 বছর ধরে ড্রিম ইলেভেনে টিম বানাচ্ছেন তিনি। শেষমেষ এসেছে সাফল্য। আপাতত প্রাপ্য অর্থ দিয়ে ব্যবসা করার ইচ্ছা রয়েছে মাজারুলের। সেই সাথে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন ড্রিম ইলেভেনের ওই বিজেতা। বলা বাহুল্য, নিজে 4 কোটি জিতলেও বাকিদের ড্রিম ইলেভেনের মতো অনলাইন গেম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মাজারুল।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |