বৈশাখের ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা সমস্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির। কোথাও তাপমাত্রা ৪২ তো কোথাও আবার ৪৪-৪৫ ডিগ্রি পারদ ছাড়িয়েছে। এমনকি শহর কলকাতারও পারদ ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি। এহেন অবস্থায় এই ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি পেতে সকলেই চাইছেন। সকলেই চাইছেন কয়েকটা দিন একটু পাহাড়ের ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে।
কিন্তু যে হারে গরম পড়ছে তার জেরে এখন সকলেই পাহাড়ে ছুটছেন। ভিড়ে ঠাসা ট্রেন থেকে শুরু করে পাহাড়ি এলাকাগুলি। কিন্তু চিন্তা নেই, আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের এমন এক জায়গার সন্ধান দেওয়া হবে যেখানে ভিড় খুব একটা নেই। পর্যটনের ভাষায় এই জায়গা খানিকটা ‘ভার্জিন’ বলা চলে। এই জায়গাটি কালিম্পং-এ অবস্থিত। একটি ছোট্ট গ্রাম। রয়েছে ছবির মতো সুন্দর কিছু দৃশ্য। এখানে এলে আপনি যেমন সমতলের ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি পাবেন ঠিক তেমনই আপনার শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে যাবে। আজ কথা হচ্ছে ডুকা ভ্যালি নিয়ে।
কালিম্পং-এর এই ছোট্ট এবং সুন্দর গ্রামটি সম্পর্কে খুব বেশি মানুষ জানেন না। হাতেগোনা খুব কম মানুষই জানেন। এখানে এলে আপনার মনে হবে যেন মন ভালো করার কোনও অদ্ভুত এক টনিক পেয়ে গিয়েছেন। নিজের মনের মানুষ, বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে এই ডুকা ভ্যালি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এখানে রয়েছে ডুকা জলপ্রপাত থেকে শুরু করে নাম না জানা কত সব গাছ, পাখি। এই গ্রামে মূলত লেপচা জাতির মানুষজন থাকেন। দেখতে পাবেন ঝুম চাষ। এখানকার কিছু দৃশ্য দেখলে আপনার চোখ রীতিমতো ধাঁধিয়ে যাবে। নিউমাল থেকে সড়কপথে ডুকা ভ্যালির দূরত্ব মাত্র ৩৪ কিলোমিটার।
আরও পড়ুনঃ প্রথম বড় মাইলফলক হাসিল, সিকিম রেল প্রোজেক্টে বিরাট সাফল্য! আর কতটা বাকি কাজ?
এখানে এসে খাওয়া-দাওয়া বা থাকার চিন্তা করতে হবে না আপনাকে। কারণ এই ডুকা ভ্যালিতেই রয়েছে বিভিন্ন হোমস্টে। যেগুলি ভাড়া একদম আপনার নাগালের মধ্যেই। হোমস্টেগুলিতে ১২০০ থেকে ১৩০০-র মধ্যে আপনার থাকা, খাওয়া হয়ে যাবে। এখান থেকে আপনি অন্যান্য জায়গা যেমন কোলাখাম, মারুনগাঁও, লাভা, রিশপ ও দাঁড়াগাঁও ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে আর দেরি না করে উত্তরবঙ্গগামী বাস বা ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলুন এবং ঘুরে আসুন ডুকা ভ্যালি থেকে।