দিনে থামে একটি ট্রেন, নামে ওঠেনা কেউ! রোজ বিরসা মুন্ডা হল্ট স্টেশন ঝাঁট দেন মানিক

Published on:

Birshamunda Halt

বাঁকুড়াঃ বর্তমানে সময়ে ভারতের অধিকাংশ মানুষের জীবনের সঙ্গে রেল ব্যবস্থা জড়িয়ে রয়েছে। কারণ যত সময় এগোচ্ছে ততই ট্রেনে ভ্রমণ করা আরও আরামদায়ক হয়ে উঠছে সকলের কাছে। এদিকে ট্রেনে ভ্রমণ একদিকে যেমন আরামদায়ক তেমনই সস্তারও বটে। অনেকেই হয়ত জানেন না যে ভারতের রেল ব্যবস্থা এশিয়ার চতুর্থতম নেটওয়ার্ক। প্রতিদিন দেশজুড়ে কয়েক হাজার ট্রেন এবং তাতে সওয়ার হয়ে যে যার প্রান্তে ছুটে চলেছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। ভারতের রেল নেটওয়ার্কের বিস্তার যে কতটা তা হয়তো কল্পনাও কর‍তে পারবেন না বহু মানুষ।

ভারতের বড় রেল নেটওয়ার্ক

WhatsApp Community Join Now

দিনে দিনে নিত্য নতুন ট্রেন, রেল রুট, রেলস্টেশন সহ নানা পরিষেবা আনার চেষ্টা করছে ভারতীয় রেল। তবে বিশেষ করে দেশে এখনও অবধি এমন কিছু রেল স্টেশন রয়েছে যেগুলি হয়তো পরিত্যক্ত, আবার কিছুটা তৈরি হয়ে রয়ে গেছে। আবার কিছু কিছু এমন রেল স্টেশন রয়েছে যেখানে সারাদিনে হয়তো মেরেকেটে একটা কি দুটো ট্রেন থামে। বাকি সময়ে যেন ভূতুড়ে হয়ে থাকে। আজ এই প্রতিবেদনে বাংলার তেমনই একটি রেল স্টেশন নিয়ে আলোচনা হবে যেটি সম্পর্কে জানা ও শোনার পর আপনিও ভাবতে বাধ্য হবেন, সত্যিই এরকম রেল স্টেশন আছে? আজ কথা হবে বিরসা মুণ্ডা হল্ট স্টেশন।

বিরসা মুণ্ডা হল্ট স্টেশন

হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, আজ কথা হবে বাংলার কখনও কুখ্যাত আবার বিখ্যাত রেল স্টেশন বিরসা মুণ্ডা হল্ট স্টেশন নিয়ে। এই রেল স্টেশনের আশেপাশের জায়গা দেখলে আপনারও চোখ রীতিমতো ধাঁধিয়ে যাবেন। এই রেল স্টেশনটি একদম জনশূন্য জঙ্গলের ভেতরে রয়েছে। এটি দেখলে আপনার কেরালার কথা মনে পড়ে যেতে বাধ্য। যাইহোক, আজ কথা হবে এই নির্জন রেল স্টেশনটি সম্পর্কে। যারা বাঁকুড়ায় থাকেন তাঁরা এই স্টেশনটি সম্পর্কে ভালোভাবেই জানবেন। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের কাছে এটি ঘন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত একটি রেল স্টেশন। জানা যায়, সারাদিনে একটিই মাত্র ট্রেন থামে এই রেল স্টেশনটিতে। কিন্তু সবথেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হল, এই ট্রেনে কেউ ওঠেও না। আবার কেউ নামেও না।

স্টেশনটির ইতিহাস

অনেকেই বলেন, স্টেশনটি পরিষ্কার রাখেন জনৈক মানিক দুলে নামের এক ভদ্রলোক। তার বিশ্বাস রেল স্টেশনটিতে একদিন না একদিন খুব ভিড় হবে, কিছু ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হবে। তবে বাস্তবে হবে কিনা এটা বলা মুশকিল। কিন্তু মানিক বাবুর পরিশ্রমকে সকলেই কুর্নিশ জানিয়েছেন। এই জায়গাটি আবার দিনের বেলা খুবই সুন্দর, কিন্তু এখানে রাতে নাকি নিরাপদ নয়। অনেকে অসামাজিক কাজকর্ম হয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ বলেন এটি নাকি ভূতুড়ে স্টেশন।

সঙ্গে থাকুন ➥