ঘরের কাছেই থাইল্যান্ড! কল্যাণী ITI মোড়ের মণ্ডপ দ্বার কবে থেকে খুলছে?

Published on:

thailand mandir kalyani iti more

প্রীতি পোদ্দার: প্রতি বছর দুর্গাপুজোতে সেরার সেরা নজর কাড়ে কল্যাণীর আইটি মোড়ের লুমিনাস ক্লাব। বুর্জ খলিফা থেকে শুরু করে মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার দুর্ধর্ষ আলোর ঝলকানি এবং অসাধারণ দুর্গাপুজোর থিমে বিগত কয়েকবছরে রীতিমত টেক্কা দিচ্ছে কলকাতার নামী নামী ক্লাবগুলিকে। এবারেও দর্শনার্থীদের জন্য বড় চমক এনেছে কল্যাণীর আইটি মোড়ের লুমিনাস ক্লাব। থাইল্যান্ডের বিখ্যাত অরুণ ওয়াট মন্দিরকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা ২০২৪ এর দুর্গাপুজোর থিম হিসেবে। যার উচ্চতা প্রায় ১৫০ ফুট। অর্থাৎ এবার এরোপ্লেন নয় একপলকেই পৌঁছে যাবেন থাইল্যান্ডে।

ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

WhatsApp Community Join Now

জানা গিয়েছে এবারের পুজোতে কল্যাণীর এই ক্লাব ৩২ তম বর্ষে পড়বে। তাই দর্শনার্থীদের জন্য সেরা চমক দিতেই এই অভিনব প্রয়াস। আজ মহালয়া। পুজোর আর মাত্র ১ সপ্তাহ বাকি। তাইতো শেষ মুহূর্তে চলছে পুজো প্রস্তুতি। এই আবহে আজই মহালয়ার দিনই কল্যাণীর আইটি মোড়ের লুমিনাস ক্লাব এর পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্লাবের অন্যতম কর্ণধার অরূপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতি বছরেই দর্শকদের নতুন কিছু শিল্পকলা উপহার দেওয়ার জন্য আমরা নানারকম পরিকল্পনা করে থাকি। এ বারেও দর্শকরা আমাদের মণ্ডপ দেখে মুগ্ধ হবেন আশা করি। প্রতিবার আশেপাশের রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ আমাদের মণ্ডপ, পুজোর আয়োজন দেখতে আসেন। তাই এই বছরেও একই ধারা বজায় থাকবে।

কবে থেকে দর্শকদের জন্য খোলা হবে মণ্ডপ?

ক্লাবের উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন, আগামী ৪ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার থেকে জনসাধারণের জন্য এই মণ্ডপের দ্বার খুলে যাবে। অর্থাৎ আর কিছুদিনের মধ্যেই চোখের সামনেই দেখতে পাবেন থাইল্যান্ডের বিখ্যাত অরুণ ওয়াট মন্দির। থাইল্যান্ডবাসী এই মন্দিরকে ‘ভোরের মন্দির’ও বলা হয়। আসলে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় এই মন্দিরের শোভা তাক লাগিয়ে দেয় সকলকে। মনে হয় সূর্যের আলো যেন ঠিকরে পড়ছে। যা এই মন্দিরের সৌন্দর্য্য আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। হিন্দু দেবতা অরুণার নাম অনুসারে এই মন্দির নির্মিত।

আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে ডায়রেক্ট ট্রেনে হাওড়া! এ মাসেই মসাগ্রামে রেলপথ উদ্বোধন, ঘোষণা সৌমিত্র খাঁয়ের

প্রসঙ্গত, কল্যাণীর এই মন্দিরের আদলে বানানো মণ্ডপের উচ্চতা ১৫০ থেকে ১৫৫ ফুট। এবং চওড়ায় মণ্ডপটি হবে প্রায় ১৩০ থেকে ১৩৫ ফুটের কাছাকাছি। আসল মন্দিরে মোট পাঁচটি চূড়া থাকলেও এখানে মণ্ডপে মোট ৩টি চূড়া তৈরি করা হয়েছে। সোনার গয়নায় সাজানো হবে প্রতিমাকে। সঙ্গে মণ্ডপের ভেতরেও থাকবে অঢেল কাজকর্ম এবং আলোর খেলা। এবার দেখার পালা কতটা দর্শকদের মনকে আকর্ষণ করতে পারবে এই মণ্ডপ।

সঙ্গে থাকুন ➥
X