কলকাতাঃ কথাতেই আছে, পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল। সমগ্র পৃথিবী মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। এক গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রায় ৭০ শতাংশই জল। তবে এর বেশিরভাগই লবণাক্ত, যা পানের উপযোগী নয়। মাটির ভেতর থেকে আমরা সবাই জল পান করি। অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করি। তবে এবার এই জল ও পৃথিবী বিরাট খবর প্রকাশ্যে এল, যা শুনলে আপনারও পিলে চমকে যাবে।
দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর জল
জানলে অবাক হবেন, খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর জল। এক সমীক্ষায় উঠে এসছে, জল দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। একদিন না একদিন জল ফুরিয়েও যাবে বলে আশঙ্কা। কিন্তু আসলেই কি তাই? পৃথিবীর অভ্যন্তরের শেষ জল কোনটি? বিজ্ঞানীরা এ কথা জানিয়েছেন। জল সংকট কি শেষ হবে? আরও জেনে নিন বিশদে।
কী বলছে CITEC
সিটেক ডেইলির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীর ভূগর্ভস্থ জলের অত্যধিক পাম্পিং দুই দশকেরও কম সময়ে পৃথিবীকে প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার পূর্ব দিকে হেলে দিয়েছে এবং প্রতি বছর ৪.৩৬ সেন্টিমিটার হেলে যাচ্ছে। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারসে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। জলবায়ু মডেলের উপর ভিত্তি করে, বিজ্ঞানীরা এর আগে অনুমান করেছিলেন যে ১৯৯৩ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মানুষ ২,১৫০ গিগাটন ভূগর্ভস্থ জল পাম্প করেছে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের ৬ মিলিমিটার এরও বেশি বৃদ্ধির সমান। তবে এই অনুমান নিশ্চিত করা কঠিন।
আরও পড়ুনঃ বেতন ৩৫, ০০০ টাকা, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা, করে ফেলুন আবেদন
জানলে অবাক হবেন, ভূগর্ভস্থ জলের বেশির ভাগই ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীর দুটি অঞ্চলে-আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত। ওয়েন সিও, সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন ভূ-পদার্থবিজ্ঞানী সমগ্র গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর এই গবেষণায় উঠে এসেছে, ভূগর্ভস্থ জলের কমে যাওয়া পৃথিবীর রোটেশনাল পোল-এর উপর সবচেয়ে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। গত কয়েক বছর ধরে ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা এলাকায় কৃষিকাজে বড় আকারে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার হচ্ছে। আর এত পরিমাণে জল বের করার ঘটনাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজ্ঞানীরা। যে হারে ভূগর্ভস্থ জল কমে যাচ্ছে সেটার বড় প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর ঘূর্ণনেও।