জ্বালাপোড়া গরমে নাজেহল অবস্থা বঙ্গবাসীর। রবিবার ছুটির দিন থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তার আগে যেন রীতিমতো আগুন ঝরছে কলকাতা সহ বাংলার জেলায় জেলায়। এই গরম থেকে সকলেই রেহাই পেতে চাইছেন। আর রেহাইয়ের একমাত্র পথ হল ঠান্ডা কোনও জায়গা থেকে ঘুরে আসা।
গরমে যেন সবাই ঝেঁটিয়ে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে গিয়ে স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেলছেন। তবে দার্জিলিং থেকে শুরু করে কালিম্পং, কার্শিয়াং, অন্যদিকে সিকিমে পর্যটকদের ভিড় এখন রীতিমতো উপচে পড়ছে। ফলে যারা ভিড়ভাট্টা পছন্দ করেন না তাদের পক্ষে ঘুরতে গিয়ে একটু সমস্যাই হচ্ছে বৈকি। তবে আর চিন্তা নেই, কারণ আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের এমন কয়েকটি ডেসক্রিপশন সম্পর্কে খোঁজ দেওয়া হবে যেখানে গেলে আপনি আর ফিরে আসতে চাইবেন না বলতে গেলে সেখানকার প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবেন। আজ উত্তরবঙ্গে ৫টি একদম অফবিট ডেস্টিনেশন সম্পর্কে আপনাদের খোঁজ দেওয়া হবে। আসুন তাহলে জেনে নিন কোন কোন জায়গা…
প্রথমেই আজ যে জায়গাটি সম্পর্কে আপনাদের সন্ধান দেওয়া হবে সেই জায়গাটির নাম হলো সিংমারি। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে জায়গাটা কোথায়? তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, এটি একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। এই জায়গাটি দার্জিলিং ম্যাল থেকে ৪ কিমি দূরে অবস্থিত। এই জায়গাটি ঘেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জের দারুণ ভিউ উপভোগ করতে পারবেন আপনি। এখন থেকে আপনি খুব সহজেই রোপওয়ে, হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং মিউজিয়াম, সিংটমের চা বাগান ঘুরে আসতে পারবেন।
এরপর যে জায়গাটি সম্পর্কে আলোচনা হবে তার নাম হল কাফের গাঁও। এখানে এলে মনে হবে যেন এক টুকরো স্বর্গ। এই জায়গাটি কালিম্পঙ-এ অবস্থিত। এখন থেকে খুব সহজেই আপনি লাভ কিংবা লোলেগাঁও-এর মতো জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। এছাড়া যেতে পারেন চারখোল, ঝান্ডিদাঁড়ার মতো জায়গায়।
এই গরমে যদি আপনি গায়ে সোয়েটার চাপাতে হয় এমন কোনো জায়গা থেকে ঘুরে আসতে চান তাহলে আপনার পরবর্তী ডেস্টিনেশন হতে পারে গীতখোলা। এই গীতখোলা থ্রি সিস্টার ওয়াটারফলস নামে পরিচিত। রয়েছে ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশদের তৈরি লোহার ব্রিজ। এখানকার নকডারা হ্রদ দেখলে মনে হবে বিদেশের কোনো জায়গায় চলে এসেছেন।
কালিম্পঙ-এ গিয়ে যদি আপনি একটু অফবিট জায়গার খোঁজ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য একদম আদর্শ জায়গা হল খারকা গাঁও। এই জায়গাটির অন্যতম আকর্ষণ হল ১৯৭৬ সালে তৈরি হওয়া জাঙ ধক পালরি মনাস্ট্রি। এছাড়া এখান থেকে চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন ফিক্কালে গাঁও, রামধুরা, ইচ্ছে গাঁও, ডেলো পার্ক, লাভা, লোলেগাঁওয়ের মতো কিছু সুন্দর জায়গা থেকে।
এই গরমের হাত থেকে বাঁচতে ঘুরে আসতে পারেন ঋষিখোলা থেকে। এই জায়গাটির একটা আলাদাই ইউএসপি আছে। পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলা ঋষি নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ছোট্ট পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে। কালিম্পং থেকে মাত্র ৩৬ কিলমিটার দূরত্বে অবস্থিত ঋষিখোলা। এখান থেকে পেডং, আরিতার, সিলারিগাঁও, ইচ্ছেগাঁওয়ের মতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন।