কলকাতাঃ ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসে। হাতে দু তিনদিনের ছুটি থাকলে বাড়িতে কারই বা মন টেকে। এমনিতেই কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষেফুল। আর এই কথাটা যে একদমই ভুল না তা বারবারই বুঝিয়েছেন ভ্রমণপ্রেমী বাঙালি। যাইহোক, আপনিও কি এক দুদিনের ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যেতে চাইছেন? কিন্তু ডেস্টিনেশন ঠিক করতে পারছেন না? তাহলে আজকের এই লেখাটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। আজ আপনাদের খোঁজ দেওয়া হবে একদম ‘মিনি মেঘালয়’-র। যাও কিনা বাংলার অবস্থিত।
বাংলায় ‘মিনি মেঘালয়’
জানলে অবাক হবেন, বাংলার বুকেই রয়েছে ‘মিনি মেঘালয়’। এমনিতে মেঘালয় যেতে বেশ অনেকটাই খরচ হয়ে যায়। তবে আর চিন্তা নেই, বাংলার বুকেই এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে হয়তো আপনি মেঘালয়কেও ভুলে যাবেন। মেঘালয় মানেই হল একের পর এক জলপ্রপাত, মেঘের আড়ালে থাকা পাহাড়, বৃষ্টি উফফ আরও কত কি! তবে এখন আপনি এই সবই পেয়ে যাবেন বাংলার এক জায়গায়। এর জন্য আপনাকে বাঁকুড়া যেতে হবে।
বাঁকুড়ায় রয়েছে হিডেন জেম
বাঁকুড়া বলতেই মানুষ এক কথায় শুশুনিয়া পাহাড় বোঝেন। কিন্তু এই বাঁকুড়াতেই এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে আপনার শরীর ও মন দুটোই জুড়িয়ে যাবে। এখানে একটি পাহাড় রয়েছে যার নাম হল বিহারীনাথ। এর উচ্চতা ৪৫১ মিটার এবং এই পাহাড় আবার বাঁকুড়ার সবচেয়ে উচ্চতম শৃঙ্গ। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এখানে থাকা ঘন বন, পাহাড়, সাদা মেঘেদের আনাগোনা বোনাস হিসেবে পেয়ে যাবেন। এই জায়গাটি আবার আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া দেখতে পাবেন। বিহারীনাথে প্রতি বছর বহু ভক্তদের ভিড় চোখে পড়ার মতো থাকে।
বিহারীনাথে রয়েছে একাধিক ঝর্ণা
এখানে এলে আপনি জায়গার প্রেমে পড়ে যাবেন। প্রকৃতির থেকে চোখ ফেরাতে পারবেন না। সীতা ঝর্না, রামদা ঝর্ণা এবং লক্ষ্মণ ঝর্না সহ আপনি নানা জিনিস দেখার সৌভাগ্য লাভ করবেন। এখানে এসে আপনি ট্রেকিং-এর আনন্দও উপভোগ করতে পারবেন।
কলকাতা থেকে কীভাবে যাবেন?
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কলকাতা থেকে কীভাবে যাবেন? তাহলে এর জন্য আপনাকে আগে হাওড়া থেকে সরাসরি বাঁকুড়া আসার ট্রেন ধরতে হবে। আপনি দুর্গাপুর হয়েও আসতে পারেন। যাইহোক, কলকাতা থেকে এই বিহারীনাথ পাহাড়ের দূরত্ব ২১৮ কিমি মতো। বাঁকুড়ায় নেমে গাড়িতে জাতীয় সড়ক ৬০ ধরে সরাসরি বিহারীনাথ পৌঁছনো যায়। বর্ষার সময়ে মানুষ এখানে বেশি আসতে পছন্দ করেন। কারণ এই বিহারীনাথ পাহাড়ের সৌন্দর্যই আলাদা লাগে বর্ষার মরসুমে। যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন তাদের কাছে এই জায়গা স্বর্গের চেয়ে কিছু কম নয়। এখানে এলে আপনি একদম মেঘালয়ের ফিল পাবেন। এখানে এসে আপনাকে খাওয়া বা থাকার কোনও চিন্তা করতে হবে না। হোমস্টে থেকে শুরু করে গেস্ট হাউস সবই রয়েছে। এছাড়া বাঙালি খাবার থেকে শুরু করে চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল সবই পেয়ে যাবেন।