ভারতের একমাত্র রেল স্টেশন, যেটি খোলে বছরে মাত্র দু’বার

Published on:

attari station

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ভারতে বর্তমান সময়ে ৭০০০-রও বেশি রেলস্টেশন রয়েছে। আগামী দিনে তা বাড়লেও বাড়তে পারে। কিন্তু আজ আপনাদের এই প্রতিবেদনে এমন একটি রেলস্টেশন সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হবে যেটি কিনা ভারতের শেষ রেল স্টেশন আর যেটি কিনা খোলে বছরে মাত্র দু’বার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এমনিতে ভারত একটি অনন্য দেশ এবং তার চেয়েও অনন্য তার বিভিন্ন নিয়মকানুন। সাধারণত গাড়ি, বাস বা ট্রেনে দেশের যে কোনও প্রান্তে যেতে হয়। কিন্তু যদি বলি যে আমাদের দেশে একটি রেলওয়ে স্টেশন আছে, যেখানে যেতে আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা লাগবে? এটি কোন স্টেশন সেটাই জানতে ইচ্ছুক? তাহলে চোখ রাখুন আর্টিকেলটির ওপর।

এই স্টেশনে যেতে লাগে ভিসা, পাসপোর্ট

WhatsApp Community Join Now

আজ আমরা কথা বলছি আটারি রেলওয়ে স্টেশন নিয়ে (Attari Sham Singh railway station)। এই স্টেশনে প্রবেশের জন্য আপনার অবশ্যই পাসপোর্টের পাশাপাশি পাকিস্তানি ভিসা থাকতে হবে। এই আটারি রেলওয়ে স্টেশনের পুরো নাম আটারি শ্যাম সিং। এটি পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলায় অবস্থিত। আটারি রেলওয়ে স্টেশনটি উত্তর রেলওয়ের উত্তর রেলের ফিরোজপুর বিভাগের অধীনে পড়ে।

আটারি রেলওয়ে স্টেশনে ঢুকতে হলে অবশ্যই পাকিস্তানি ভিসা থাকতে হবে, যদি আপনার কাছে পাকিস্তানের ভিসা না থাকে এবং আপনি যদি এই রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার সাহস দেখান, তাহলে আপনাকে গ্রেফতার করে জেলে অবধি ঢোকানো যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এ মামলায় গ্রেফতার হলে দীর্ঘ সময় জেলেও কাটাতে হতে পারে।

জানুন ইতিহাস

সমঝোতা এক্সপ্রেসটি আটারি রেলওয়ে স্টেশন থেকেই শুরু হয়েছিল। এই সমঝোতা এক্সপ্রেস ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলাচল করত যা কিনা এখন বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। আটারি রেলওয়ে স্টেশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল রেলওয়ে স্টেশন কারণ পাকিস্তান থেকে ট্রেনগুলি এখান থেকে চলে এবং এটি পাকিস্তানের খুব কাছেই। স্টেশন থেকে নামলেই আপনি একপ্রকার পায়ে হেঁটে ভারত থেকে পাকিস্তান চলে যেতে পারেন। এই কারণেই এখানে আসা প্রত্যেক ভারতীয়ের পাসপোর্টের পাশাপাশি পাকিস্তানের ভিসা থাকতে হবে। এই স্টেশনকেন আবার লাহরের প্রবেশদ্বারও বলা হয়।

বছরে মাত্র দু’বার খোলে আটারি স্টেশন

অনেকেই হয়তো জানেন তো আবার অনেকেই হয়তো জানেন না যে বছরে মাত্র দুবার এই রেল স্টেশনের দরজা খোলা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের ত্যাগের স্মরণে বছরে দুবার একটি বিশেষ ট্রেন চালানো হয়। প্রতি বছর, উত্তর রেল তাদের উত্তরাধিকারকে সম্মান জানাতে শহীদ দিবস (২৩ মার্চ) এবং বৈশাখী (১৩ এপ্রিল) এ একটি বিশেষ DMU ট্রেন পরিচালনা করে। আগে এই বিশেষ ট্রেনটি ফিরোজপুর থেকে হুসেনিওয়ালা সীমান্ত পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার জুড়ে। পূর্বে, লাইনটি লাহোর পর্যন্ত প্রসারিত ছিল, কিন্তু পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনার কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়, পাশাপাশি সতলেজ নদীর সেতু ভেঙে দেওয়া হয়। এখন, লাইনটি হুসেনিওয়ালায় শেষ হয়েছে, যেখানে শহীদ ভগত সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুর স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X