রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনের নামকরণ কীভাবে করে রেল? জানুন বিশদে

Published on:

train name

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইন বলা হয়। আর এই তকমাটা কিন্ত এমনি এমনি দেওয়া হয়নি। বছরের পর বছরে ধরে ভারতীয় রেলের ছড়িয়ে থাকা বিস্তৃতি একে সবকিছুর থেকে আলাদা করে। প্রতিদিন দেশজুড়ে কয়েক হাজার ট্রেন এবং তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ সওয়ার হয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছে। এক্সপ্রেস ট্রেন, লোকাল ট্রেন, মেল ট্রেন, হাইস্পিড ট্রেন সহ বহু ট্রেন চলছে দেশে। সেসব ট্রেনগুলির আবার নামও রয়েছে। প্রতিটি আলাদা আলাদাই কিন্তু যাতে গুলিয়ে না যায়। কিন্তু আপনার মনে কি এমন প্রশ্ন জেগেছে যে এই ট্রেনগুলির নাম (Train Name) কে ঠিক করে? উত্তর জানেন? যদি না জানা থাকে তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।

কীভাবে নির্ধারণ হয় ট্রেনের নাম?

আজ আলোচনা করা হবে কীভাবে নির্ধারণ হয় ট্রেনের নাম। জানলে হয়তো অবাক হবেন, একটি ট্রেনের নাম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে রেলওয়েকে বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয়। যেমন দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ভুগোল ও অন্যান্য কারণ। এরপর সবকিছু বিচার করে একটি ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়।

যেমন রাজধানী এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেই ধরা যাক। দেশে যতগুলি ট্রেন চলাচল করে তার মধ্যে এই রাজধানী এক্সপ্রেসকে অন্যতম ট্রেন হিসেবে ধরা হয়। দেশের প্রতিটি বড় শহর থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস ছাড়ে। আর রাজধানী এক্সপ্রেস মানেই হল রাজধানী দিল্লি। আরও একটি উদাহরণ হল বিকানের এক্সপ্রেস। যেহেতু এটি রাজস্থানের মতো জায়গাকে সংযুক্ত করে বা বোঝায়, তাই ট্রেনের নাম বিকানের এক্সপ্রেস রেখেছে রেল।

আরও পড়ুনঃ আচমকাই জঙ্গিপুর স্টেশনের বিপুল নিরাপত্তা বাড়াল রেল, নেপথ্যে কারণ কী?

শতাব্দী এক্সপ্রেস ও অন্যান্য ট্রেন

অন্যদিকে ১৯৮৯ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ১০০ তম জন্মদিনে শতাব্দী এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছিল। ১০০ বছরের সময়কালকে শতাব্দী বলা হয়, এই কারণেই এই ট্রেনটির নামকরণ করা হয়েছিল শতাব্দী। এছাড়াও, দুরন্ত ট্রেন খুব কম স্টেশনেই থামে। দুরন্ত শব্দের অর্থ কোনও বাধা ছাড়াই, তাই এর নাম দুরন্ত এক্সপ্রেস। এছাড়া আঞ্চলিক পরিচয়ের দিক থেকে বলতে গেলে, গোদাবরীর আশেপাশের এলাকা দিয়ে যাওয়া ট্রেনটির নাম রাখা হয়েছে গোদাবরী এক্সপ্রেস। সিন্ধু দর্শন এক্সপ্রেস সিন্ধু নদী এবং এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য পরিচালিত হয়। সেজন্য এই ট্রেনটির নাম এরকম রাখা হয়েছে। অর্থাৎ স্থান, কাল, মাহাত্ম্য…এসব দেখে বিভিন্ন জায়গার ট্রেনের নাম নির্ধারণ করে রেল। ট্রেনের নামকরণের প্রক্রিয়ার জন্য রেলওয়ে বোর্ড দায়ী। সব রাজ্য ও রেলওয়ে জোনগুলির থেকে শলা পরামর্শ নেওয়ার পর কোন ট্রেনের কী নাম হবে সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় রেল।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥