প্রত্যেকদিন হাজার হাজার যাত্রী বাংলার এই রেল স্টেশনের ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন, কিন্তু রেল স্টেশনটির এমন উদ্ভট নাম কোথা থেকে এল তার ইতিহাস হয়তো সিংহভাগ মানুষ জানেন না। আশে পাশে কোনওরকম বালির খাদান বা মরুভূমিও নেই, তাও রেল স্টেশনের নাম হল কিনা ‘বালি’। অথচ এখানে দূর দূরান্ত কোনও বালিয়াড়ি নেই।
আচ্ছা আপনিও নিশ্চয়ই কখনও না কখনও এই রেল স্টেশনে নেমেছেন নয়তো ওপর দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই রেল স্টেশনের এমন নাম কেন সে সম্পর্কে কোনও ধারণা আছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর। এমনিতে বর্তমান সময়ে ভারতের বেশিরভাগ মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রেনকেই ভরসা করেন এবং ভ্রমণ করেন। আর হবে নাই বা কেন। ভারতে একদিকে যেমন রেলে ভ্রমণ সস্তা এবং তেমনই আবার আরামদায়ক। এই কারণে, ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইন আবার মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বর্তমানে রেল স্টেশন থেকে শুরু করে ট্রেনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে ভারতীয় রেল। দেশে এখন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম এবং সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালাচ্ছে রেল। তেমনই রেল স্টেশনগুলিতে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। তেমনই ঢেলে সাজানো হচ্ছে বালি রেল স্টেশনকেও। হাওড়া–বর্ধমান কর্ড লাইনের মধ্যে থাকা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন। এটি হাওড়ায় অবস্থিত। এটি পূর্ব রেল জোনের আওতাধীন। এটি একটি ছোট রেলওয়ে জংশন। হাওড়া স্টেশন থেকে এই রেল স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার মতো।
কিন্তু এর নাম কোথা থেকে এল সে ব্যাপারে কিছু জানেন? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই বালি স্টেশনের নাম একজন ব্যক্তির নামে রাখা হয়েছে। তাঁর নাম হল জেমস বালি। তিনি রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি জুট মিলের প্রতিষ্ঠাতা।