শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ইন্টারনেট সোশ্যাল মিডিয়ার জমানায় অফিবিট ট্যুরিস্ট স্পটে সাধারণ মানুষের উৎসাহ বেড়েছে কয়েক গুণ। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি বরাবরই ভ্রমণ প্ৰিয় হিসেবে পরিচিত। দীঘা, পুরি মন্দারমণি, দার্জিলিং ইত্যাদি তো অনেক হল। এবার খোঁজ চলছে নতুন নতুন জায়গার। জায়গা তো সে অনেক আছে। কিন্তু পকেটের কথাও তো ভাবতে হবে। খরচ বুঝে তবে ব্যাগ গোছানো। অল্প খরচের মধ্যে ঝাড়গ্রাম অন্যতম সেরা জায়গায়। হয়তো বলবেন ঝাড়গ্রাম তো ইতিমধ্যে ঘোরা, সেখানে আবার নতুন কি আছে? আছে আছে। নতুন জায়গাই বটে।
ঘুরে আসুন ঝাড়গ্রামের এই নতুন জায়গা থেকে
এতো দিন ঝাড়গ্রাম বলতে চেনা পরিচিত কিছু স্থানের নাম শোনা যেত, সেখানেই বেশিরভাগ পর্যটকরা ঘুরতে যান। কিন্তু ঝাড়গ্রামের ডুংরি বলে কোনো জায়গার নাম কি শুনেছেন? স্থানীয় মানুষদের কাছে ডুংরি নামক জায়গাটা বেশ পরিচিত। পবিত্র জায়গা হিসেবে সেখানকার মানুষরা মেনে চলেন। এছাড়া যারা ট্রেকিং কিংবা হাইকিংয়ের মতো স্পোর্টস বা অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটি করেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো ঝাড়গ্রামের এই জায়গায় গিয়েছেন।
জায়গাটা স্থানীয় মানুষদের কাছে খুবই পরিচিত। সেখানে রয়েছে সাদা রঙয়ের পাথর। সবুজ বনানীর মধ্যে সাদা পাথর। সবুজ শাল জঙ্গলের মাঝে সাদা পাথরের বড় বড় চাই এলাকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। রয়েছে খরগোশ, বুনো শুয়োর ও নানা জাতির পাখি। মাঝে মধ্যে ঢুকে পড়ে হাতি।
ডুংরি যাবেন কীভাবে?
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ১৯ কিমি দূরে কনকদুর্গা মন্দির যাওয়ার পথে চিল্কিগড় বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে বাহিরগ্রামের রাস্তা দিয়ে জামবনি ব্লকের রানিপাল গ্ৰাম লাগোয়া ডুংরিতে পৌঁছনো যায়। সাধারণ পর্যটকদের জন্য জায়গাটা সেভাবে আধুনিক সুবিধা, ব্যবস্থা যুক্ত নয়। আগামী দিনে এখানে হোটেল, রিসোর্ট বা থাকা খাওয়ার জন্য ভালো জায়গায় গড়ে উঠলে পর্যটকদের আসা যাওয়া আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার মন্তব্য উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমে, “সবুজ জঙ্গলের মধ্যে সাদা পাথরের বড় বড় টুকরো রয়েছে। ঝাড়গ্রামের অরণ্যে এমন অনেক জায়গা আছে যা সাধারণ পর্যটকদের অজানা।”