বীরভূমের কাছেই, সামান্য খরচেই একদিনের ছুটিতে চলে যান মিনি দার্জিলিং

Published on:

bahera pahari mini darjeeling

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ দার্জিলিং নামটা শুনলেই মনটা কেমন ভালো হয়ে যায় তাই না? আবার মন খারাপও হয় বটে। কারণ অফিস, বাড়ি ইত্যাদি সব জায়গার কাজ সামলে আর সবার পক্ষে দার্জিলিং যাওয়া হয়ে ওঠে না। আবার পকেটের কথা ভেবেও অনেকে পিছিয়ে আসেন। সমস্যা যাই হোক না কেন, মন যে মানতে চায় না। একটু সময় পেলেই কোথাও একটা ছুটে চলে যেতে ইচ্ছা করে। আচ্ছা দার্জিলিং না হোক, দার্জিলিংয়ের মতো কোনো একটা জায়গায় গেলেও তো মন্দ হয় না।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

বাংলার অদূরে এক টুকরো দার্জিলিং

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন অনেক জায়গার নাম আমরা জানতে পারছে। বীরভূম অতিক্রম করলেই ঝাড়খণ্ড, এখানে এমন একটা জায়গা রয়েছে যেটাকে সোশ্যাল মিডিয়ার ভ্রমণ পিপাসুরা নাম দিয়েছেন ‘ মিনি দার্জিলিং ‘। না, এখানে কখনো বরফ পড়েছে বলে জানা যায়না না, বাতাসিয়া লুপ, টয় ট্রেনও নেই। তাহলে মিনি দার্জিলিং বলা হচ্ছে কেন? বলা হচ্ছে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও আবহাওয়ার কারণে। তার আগে জেনে নেওয়া যাক এই জায়গার নাম।

ঝাড়খণ্ডের ভেরাপাহারি ক্রমে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করেছে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এখানে পড়ে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। সেই সঙ্গে কুয়াশার চাদর, পাহাড় আর সবুজ আর সবুজ। কুয়াশা ঘেরা পাহাড়, প্রচণ্ড শীত আর ঘন গাছপালা দেখার পর দার্জিলিংয়ের কথা মনে পড়তেই পারে। অনেকে মজা করে এমনটাও বলেছেন, এটা নাকি গরিবের দার্জিলিং!

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

যাবেন নাকি গরিবের দার্জিলিং-এ?

বীরভূম থেকে কীভাবে যেতে হবে সেটা তো জানেন। কিন্তু জায়গাটা ঠিক বীরভূমে নয়, আসলে ঝাড়খণ্ডের মধ্যে পড়েছে। তাই যাওয়ার আগেও লোকেশনটা ভালো করে জেনে নেওয়া দরকার। বীরভূমের শেষ সীমানা ভেরাপাহারি ঝাড়খণ্ড এলাকায় অবস্থিত এটি। মুলুটি মা মৌলীক্ষা দেবীর মন্দির থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে মিনি দার্জিলিং।

আর আপনি যদি বীরভূমের রামপুরহাট থেকে যান, তাহলে দূরত্ব পড়বে মোটামুটি ৩৫ কিলোমিটার। যদি বীরভূম বেড়াতে আসেন, তাহলে টুক করে এদিকে চলে আসতেই পারেন। নাহলে পরেরবার যখন বীরভূম আসবেন, তখন এই মিনি দার্জিলিংকে ধরেই বরং প্ল্যান করুন। একদিনের জন্য হলেও এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। অন্যান্য জায়গার থেকে এখানে গরম কিছুটা হলেও গরম থাকে। শীতকাল হলে তো কথাই নেই। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে যাওয়ার সেরা সময় বলে মনে করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group