শ্বেতা মিত্র, পুরুলিয়াঃ নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শীত পড়তে শুরু করেছে। ভোরের সকালে হালকা কুয়াশার সঙ্গে বাতাসে হিমেল পরশ। আর দিনকয়েক পর থেকেই হয়তো জাঁকিয়ে পড়বে শীত। আর শীতকাল মানেই ঘুরতে যাওয়ার মরশুম। বাঙালি অথচ শীতকালে ঘুরতে যাবেন না তাই কখনও হয় নাকি? কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, এই নিয়ে ইতিমধ্যে হয়তো কেউ কেউ প্ল্যানিং করতে শুরুও করে দিয়েছেন। কারও ভাবনায় হয়তো আনাগোনা করতে শুরু করেছে পুরুলিয়ার নাম।
ঘুরে আসুন সুন্দরী পুরুলিয়ার এই অফবিট জায়গা
পুরুলিয়ায় (Purulia) তো ঘোরার জায়গা অনেক। শাল, পলাশ, মহুয়ার দেশ পুরুলিয়া, রয়েছে পাহাড়, নদী ঝর্না। কিন্তু পুরুলিয়ার কথা উঠলেই ঘুরেফিরে আসে সেই অযোধ্যা, জয়চন্ডী কিংবা বড়ন্তি, মরগুমার নাম। এর বাইরেও কিন্তু ঘোরার মতো অনেক জায়গা রয়েছে। পুরুলিয়া স্টেশন থেকে মোটামুটি আধঘণ্টা দুরুত্বে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেটার নাম হয়তো এখনও অনেকেই শোনেননি। কিংবা শোনা শোনা মনে হলেও এখনও যাওয়া হয়ে ওঠেনি। চলুন না, এবারের শীতে এই অফবিট ডেসটিনেশনেই যাওয়া যাক। ফুটিয়ারির নাম শুনেছেন?
এই ছুটিতে যাবেন নাকি ফুটিয়ারি?
ফুটিয়ারি ড্যাম। এখানে রয়েছে ফুটিয়ারি নদী, যার তিনদিক পাহাড়ে ঘেরা, সঙ্গে সবুজ বনানী। কলকাতা থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুর হয়ে নিজের গাড়িতে সহজেই চলে আসা যায়। আবার রেল পথেও আসা যায়। পুরুলিয়া স্টেশনে নেমে মিনিট ৪৫-এর মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন ফুটিয়ারি ড্যামের কাছে। এখানে থাকার জায়গাও পেয়ে যাবেন। গুগল করলে একাধিক লজ, রিসর্ট ইত্যাদির সন্ধান পেয়ে যাবেন।
কোথায় থাকবেন?
স্টেশনের কাছে থাকার জায়গা তো আছেই, গন্তব্যের আশেপাশেও থাকার জন্য আরামদায়ক জায়গা পেয়ে যাবেন। কী আছে এই ফুটিয়ারিতে? ফুটিয়ারি আসলে একটা নদী। এমনিতে শান্ত, কিন্তু বর্ষাকালে দুরন্ত। শীতকালে এই নদীর বাঁধে দূর দুরান্ত থেকে উড়ে আসে নানান প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। যারা ছবি তুলতে ভালভাসেন, তাঁদের জন্য এই জায়গাটা একেবারে পারফেক্ট। নদীর তিন দিকে রয়েছে তিনটি পাহাড় – তিলাবনি, পাঞ্জনিয়া, সিন্দুরপুর।
বাঁধের রাস্তায় হেঁটেই অনেকটা সময় কেটে যাবে। তবুও যদি মন না ভরে তাহলে একটা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন দ্বারকেশ্বর নদীর উৎপত্তিস্থল দুর্গাসিংডাঙা থেকে। রয়েছে তিনটি প্রাচীন জৈন মন্দিরের স্থল পাকবিড়রা, এখানেও সহজে গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।