ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ বর্তমানের যুগ সোশ্যাল মিডিয়ার। এই সময়ে দাঁড়িয়ে মানুষ এক দণ্ডও সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া থাকতে পারে না। প্রতিদিনের জল, খাবারের মতো এই সোশ্যাল মিডিয়া, স্মার্টফোন সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যেকদিনই এমন কিছু ছবি, ভিডিও ঘোরাফেরা করে যা দেখলে কখনো আমরা হাসি তো আবার কখনো দুঃখ পাই কিংবা রেগে যাই। এবার তেমনই এক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে।
এই ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে রুক্ষ, পরক্ষণেই দেখানো হচ্ছে সবুজে ভরে গেছে সমগ্র পাহাড়, বলা ভালো ন্যাড়া পাহাড়। হ্যাঁ এমন ভিডিও দেখে হতচকিত হয়ে গিয়েছেন সকলে। ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে জায়গাটি পুরুলিয়ার এক গ্রামের। এই জায়গাটি নাকি বিগত ৫০ থেকে ৬০ বছর রুক্ষ জমি ছিল কিন্তু এখন সেটি সবুজে ভরে গিয়েছে। মূলত অরণ্যে ভরে রয়েছে। জানলে অবাক হবেন, ১৯৯৮-১৯৯৯ সালের আগে জেটিকে মানুষ রুক্ষ পাহাড় হিসেবে জানত এখন সেটি গায়ে লাখ গাছের সমাগমে বেড়ে ওঠা অরণ্যে পরিণত হয়েছে।
আর এই সাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা। মূলত পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ১ ব্লকের ঝাড়বাগদা গ্রামের বাসিন্দারা টেগোর সোসাইটি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট-এর সহায়তায় প্রায় ২৭৫ একর জমির ওপর থাকা রুক্ষ পাহাড়ে ব্যাপক পরিমাণে গাছ লাগিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে টানা ২০০৫ সাল অবধি সকলে মিলে ৩,৬০,০০০ চারাগাছের অর্থ সাহায্য এসেছিল কিয়োটো ফোরাম ও ফেলিসিমো ফরেস্ট ফাউন্ডেশন থেকে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টে ক্লার্ক নিয়োগ, রয়েছে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ! এক ক্লিকে জানুন আবেদন পদ্ধতি
এরপর এখন এই চারাগাছগুলিই বড় হয়ে আস্ত একটা অরণ্যে পরিণত হয়ে গেছে। আর এই অরণ্যের দরুণ আশেপাশের গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার উপকৃত হচ্ছেন। জানা গিয়েছে, শ্বাসযোগ্য বায়ু থেকে এই অরণ্য অপসৃত করছে প্রায় ৭৫০ মেট্রিক টন কার্বন। এর ফলে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ যেভাবে বেড়েছে, অন্যদিকে এলাকার মাটি আরো সরস ও উর্বর হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে টেগোর সোসাইটি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট-এর প্রতিনিধি নন্দলাল বক্সী জানান, ‘কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ পরিবেশটাকে ভালো করার জন্য নিজস্ব জমি আমাদেরকে দিতে সম্মত হয়েছে।’
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এই অরণ্যের ফলে বৈশাখ মাসের কাঠফাটা গরম থেকে তাঁরা মুক্তি পান। এই জঙ্গলে আবার হাতিও থাকে। সকলের মধ্যে পরিবেশ নিয়র সচেতনতা বাড়াতে বনমহোৎসবের আয়োজন করা হয়। ফলে এখন এই অরণ্য সকলের উপকারে লাগছে।