বাইক চালানোর সময় এদের হেলমেট পরা আবশ্যক নয়, ট্রাফিক পুলিশও কাটতে পারবে না চালান

Published on:

traffic police

বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরা জরুরি। কারণ বাইক চালানোর সময় যদি দুর্ঘটনা ঘটলে মাথায় সবার আগে আঘাত লাগে। হেলমেট মাথাকে সুরক্ষা দেয়। যার ফলে গুরুতর আঘাত বা মস্তিষ্কের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পরিসংখ্যান বলছে, যেসব বাইক চালক হেলমেট পরে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে কম। হেলমেট পরলে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের সম্ভাবনা ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। বেশিরভাগ দেশে বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তবে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরার নিয়ম থেকে ছাড় দেওয়া হয় মূলত তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কারণে। শিখ ধর্মের পুরুষদের কাছে ‘পাগড়ি’ বা ‘দস্তার’ পরতে হয়। পাগড়ি তাদের শিরস্ত্রাণ হিসেবে কাজ করে। এটি তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের অংশ। একইসঙ্গে মাথার এই পাগড়ির কারণে হেলমেট পরা যায়না। সেই কারণে ভারতের এই বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরার নিয়ম থেকে পান মুক্তি।

এইসব দেশে হেলমেট না পরলে কোনো শাস্তি হয়না শিখদের

শিখ ধর্মে পাগড়ি একটি অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শিখদের জন্য সাহস, মর্যাদা, এবং আত্মসম্মানের প্রতীক। পাগড়ি কেবল একটি পোশাকের অংশ নয়, বরং পাগড়ি রক্ষা শিখদের ধর্মীয় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিছু দেশে, বিশেষ করে যেখানে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করেন, সেখানে আইনগতভাবে তাঁদের জন্য হেলমেটের আইন থেকে ছাড় দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভারত, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু রাজ্যে শিখরা হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি পান।

এই বিশেষ নিয়ম নিয়ে বিতর্ক’ও রয়েছে

যদিও শিখদের হেলমেট থেকে ছাড় দেওয়া নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ কেউ আবার যুক্তি দেন যে, ধর্মীয় স্বাধীনতার সাথে সাথে নিরাপত্তার দিকটিও বিবেচনা করা উচিত। অন্যদিকে, শিখরা বলেন যে পাগড়ি পরিধান করলে তাদের মাথা যথেষ্ট সুরক্ষিত থাকে এবং হেলমেটের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে।

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X