শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ Exclusive- ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose)… ভারতের ইতিহাসের এক অনন্য নাম। দেশের স্বাধীনতার পিছনে তাঁর অবদান কখনো কোনো মানুষ ভুলবেন না। অনেকেই আছেন যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, আবার অনেকে যৌবনে হাসতে হাসতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। কেউ হাসিমুখে ফাঁসিতে ঝুললেন, কেউ ব্রিটিশ শাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জায়গায় জায়গায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। যথার্থই বলা যায়, এই স্বাধীনতা… এমনি এমনিতেই আমরা পাইনি। প্রতিবারই এই শহীদ ও বিপ্লবীদের সম্মানে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এমনই একটি উদাহরণ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সেই শহীদ বিপ্লবীদের নামে নামকরণ করা রেল স্টেশনগুলির নাম।
দেশের এমন অনেক রাজ্য রয়েছে, যেখানে দেশের মহান বিপ্লবীদের নামে অনেক স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে, যা তাদের সম্মান ও সাহসিকতার কাহিনী শোনায়। আজ আমরা এমনই একটি স্টেশনের কথা আপনাদের জানাতে চলেছি, যার নাম আমাদের গর্বিত করে যে আমরা সেই বীর সৈনিকদের দেশে জন্মেছি। আপনি কি জানতেন যে ভারতে ক্ষুদিরাম বসুর নাম রেল স্টেশন আছে? হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
ক্ষুদিরাম বসুর নাম রেলস্টেশন
তরুণ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর নামে নিবেদিত ভারতীয় রেলের ‘ক্ষুদিরাম বসু পুসা’ রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন এটি কোথায়? বাংলাতেই কি রয়েছে? উত্তর হল না। তাহলে কোথায়? জানিয়ে রাখি, ক্ষুদিরাম বসু পুসা রেলওয়ে স্টেশনটি বিহার রাজ্যের সমস্তিপুর জেলায় অবস্থিত। আসলে এখানেই ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়েছিলেন ক্ষুদি। তাই সেই স্মৃতিকে স্মরণ করতে ভারতীয় রেল ‘পুসা’ স্টেশনের না পাল্টে ‘ক্ষুদিরাম বসু পুসা’ রাখে।
ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যু
১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ভোর চারটায় বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুকে পুলিশ মুজাফফরপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া। তখন নাবালক ক্ষুদিরামের চোখে না ছিল ভয় না কান্না। শুধুই ফাঁসিকাঠে ঝোলার আগে ক্ষুদিরামের গলায় একটাই কথা শোনা গিয়েছিল, সেটা হল ‘আমি গীতা পড়িয়াছি, মৃত্যু ভয় নাই।’