কলকাতাঃ পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, হার মানলে চলবে না। এই মন্ত্রকে সঙ্গী করে কত মানুষ যে জীবনে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন তার কোনও ইয়ত্তা নেই। আজ এই প্রতিবেদনে তেমনই এক মেয়েকে নিয়ে আলোচনা হবে যার জীবন ছোট থেকেই সংগ্রামে পরিপূর্ণ। তবে পথে হাজারো বাধা সত্ত্বেও নিজের স্বপ্ন কীভাবে পূরণ করতে হয় তা বুঝিয়েছেন বাদাবথ মধুলতা।
JEE Exam ক্র্যাক করে IIT-তে জায়গা পেলেন মধুলতা
বাদাবথ মধুলতা কোনও বাধাকেই বাধা মনে করে নিজের স্বপ্নকে সত্যি করে তুলেছেন। ছাগল প্রতিপালন করার পরেও পড়াশোনা করে জেইই মেইন ও অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। বাদাবথ মধুলতা তেলেঙ্গানার রাজন্না সিরসিল্লা জেলার বাসিন্দা। এ বছর তিনি জয়েন্ট এন্ট্রান্সে তফসিলি উপজাতি (এসটি) বিভাগে ৮২৪ তম স্থান অর্জন করে আইআইটি পাটনায় জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্সে B.Tech পড়ার জন্য টিউশন ও অন্যান্য খরচ বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা মেটাতে পারছে না তাঁর পরিবার। খেতমজুরের মেয়ে মধুলতা গত মাসে ভর্তির জন্য মাত্র ১৭ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক অনটন ও বাবার অসুস্থতার কারণে বাড়তি ২.৫১ লক্ষ টাকা দিতে পারেনি পরিবার।
ছাগল প্রতিপালন করেও স্বপ্নপূরণ যুবতীর
পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন যোগানোর জন্য যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়েছে মধুলতাকে। জানলে অবাক হবেন বর্তমানে ছাগল চরিয়ে দিন গুজরান করতে হচ্ছে তেলঙ্গানার রাজন্না সিরসিল্লা গ্রামের আদিবাসী ছাত্রী বাদাভথ মধুলতাকে। ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার জুনিয়র কলেজের এ ছাত্রীকে আইআইটিতে ফি প্রদান করতে হবে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে। কিন্তু সে অনেক টাকা। যে পরিবারে দুমুঠো অন্ন জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে আইআইটিতে পড়ার জন্য বিপুল পরিমাণে টাকা জোগাড় একপ্রকার স্বপ্নের সমান। আর এরপরেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ রেবন্ত রেড্ডি এই আদিবাসী মেয়েকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
মধুলতার এক শিক্ষকের কথায়, “আইআইটিতে পড়ার খরচ জোগানোর মতো অবস্থা মধুলতার নেই। আইআইটি তো অনেক দূরের ব্যাপার, মধুলতাকে সাধারণ কলেজে পাঠানোর মতো সামর্থ্যও নেই পরিবারের। কোনও সাহায্য না পেলে মধুলতাকে আইআইটিতে পড়ার সুযোগ হারাতে হতে পারে।” এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পেয়ে বেজায় খুশি মধুলতা ও তাঁর পরিবার।