মানুষের জীবনে নানা শখ থাকে। সময়, সুযোগ থাকলে মানুষ আস্তে আস্তে করে সেগুলি সবই পূরণ করার চেষ্টা করেন, আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মানুষ জীবনের সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। কিন্তু নদিয়ার কৃষ্ণনগরের এক দম্পতি এমন এক কাজ করেছেন যে দেখে ও শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে।
তবে এবার তারা নব দম্পতিও কিন্তু নয়, এক কথায় দুজনেই পঞ্চাশোর্ধ দম্পতি এমন এক কাজ করেছেন যে এখন সকলের আলোচ্যর বিষয় হয়ে উঠেছে সাধারণভাবে। ইচ্ছা থাকলেই যে উপায় হয় তা এই বৃদ্ধ দম্পতি খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন আপনিও নিশ্চিয়ই ভাবছেন যে কী হয়েছে? তাহলে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপরে।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগরের বাসিন্দা অশোক প্রামাণিক পেশায় একজন নাপিত। তাঁর কৃষ্ণনগর স্টেশনের কাছাকাছি একটি দোকান রয়েছে। এই দোকান সকাল ন’টা থেকে রাত নটা পর্যন্ত খোলা। বিগত ৩০ বছর ধরে মানুষটি হাড় ভাঙা পরিশ্রম করার চলেছেন। এই দোকান চালিয়েই ছেলে মেয়েকে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়েছেন, ছেলেমেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তবে তাঁর একটি ইচ্ছাপূরণ করতে প্রত্যেকদিনের উপার্জন থেকে ৫ টাকা করে লক্ষ্মীনারায়ণের ভাণ্ডারে ফেলতেন। লক্ষ্য, বাইক কেনা।
আর নিজের সেই ইচ্ছাপূরণও করেছেন অশোক প্রামাণিক। এই বাইক নিয়েই প্রত্যেক বৃহস্পতিবার নিজের স্ত্রী শিবানীকে সঙ্গে নিয়ে বোলপুর শান্তিনিকেতন, বক্রেশ্বর থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি, মেসেঞ্জার, তারাপীঠ, দিঘা এবং দার্জিলিং বেড়িয়েছেন তিনি। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। টাকা বাঁচাবেন বলে অশোক প্রামাণিক জানান, বৃহস্পতিবার কাকভোরে বেড়িয়ে পরদিন সকাল সকাল বাড়ি ঢুকে পরেন আর শুরু করে দেন কাজ।