সমুদ্র, ঝাউবনের সমাহার! কলকাতার কাছে নামখানার নির্জন সৈকতে নতুন পর্যটন কেন্দ্র

Published on:

lalganj namkhana

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বাঙালি অথচ সমুদ্র পছন্দ করে না এমন মানুষকে হয়তো খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। হাতে কয়েক দিনের ছুটি থাকুক কিংবা বেশি দিনের, কিংবা বাজেট হোক বা নন বাজেট ট্যুর, সমুদ্র বলতেই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি অজ্ঞান। সমুদ্র মানে হল হয় দীঘা-পুরী নয়তো বকখালি। অনেকেই আছেন যারা দীঘা কিংবা পুরী ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আবার অনেকেই আছেন যারা ভিড়ভাট্টা পছন্দ করেন না তাদের জন্য বকখালি একদম প্যারাডাইসের সমান। এই বকখালিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের উত্তেজনা রীতিমততো তুঙ্গে থাকে। নামখানা থেকে নেমে অনায়াসেই এই বকখালিতে যাওয়া যায়। শুধু তাই নয় ঘুরতে যাওয়া যায় এখন সকলের প্রিয় মৌসুনী আইল্যান্ডেও। কিন্তু এবার এই বকখালির খুব কাছেই গড়ে উঠছে এক পর্যটন কেন্দ্র।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

বকখালির অদূরে নতুন পর্যটন কেন্দ্র

এই নতুন জায়গায় ইতিমধ্যে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। এদিকে নতুন জায়গায় ঘুরতে এসে পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য গড়ে উঠছে একের পর এক হোটেল, রিসর্ট। এখন আপনিও নিশ্চয় ভাবছেন যে ঠিক কোথায় নতুন পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে উঠছে? কিংবা নতুন পর্যটন কেন্দ্রটির নামই বা কী? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।

আপনিও কি যাবেন নাকি?

জানা গিয়েছে, নামখানার হরিপুরের ঘোষ খাল ও লালগঞ্জের নির্জন সমুদ্র সৈকতে গড়ে উঠছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র। লালগঞ্জের সমুদ্র সৈকতে গত প্রায় দু’বছর আগে ঝাউ চারা লাগানো হয়েছিল। সেই চারাগুলি এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা ও ১০০ মিটার চওড়া করে সেই ঝাউবন মন কেড়েছে পর্যটকদের। এই ঝাউবনের বাম দিকে প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে সাবার।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে সবার মানে কী? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই সবার হল যেখানে মাছ শুকনো করা হয়। সেই সাবারের বাম দিকে রয়েছে আরও একটি সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতেও রয়েছে ঝাউ গাছ। সেই সঙ্গে রয়েছে ছোটখাটো খালও, যেখানে পর্যটকরা বোটিং করারও সুযোগ পাবেন

রয়েছে রিসোর্ট

এ বিষয়ে লায়লগঞ্জের একটি কটেজের মালিক অয়ন চক্রবর্তী বলেন, ঘোষ খাল থেকে পর্যটকদের বোটিংয়ের মাধ্যমে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে নিয়ে আসা হয়। জোয়ারের সময় খালেও বোটিং করা যায়। নির্জন সমুদ্র সৈকতের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসছেন। খুব সহজেই এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া যায়।

কীভাবে যাবেন?

এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই নতুন জায়গাটিতে কীভাবে যাবেন? তাহলে জানিয়ে রাখি, নামখানা স্টেশনে নেমে অটো বা টোটোতে করে এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া যায়। এছাড়াও বাসে করে এলে নামখানার আট অথবা দশ মাইল স্টপে নেমে অটোতে করে এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছনো যায়।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group