সৌরজগতের সব রহস্য এখনো অবধি উন্মোচিত হয়নি সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে। তবে ছোটখাটো বিষয় থেকে বড় কিছু জিনিস নিয়ে সর্বদা কাজ করেই চলেছে বেশিরভাগ দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রগুলো। সর্বদা সৌরজগতে কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে, যার ইয়ত্তা হয়তো সাধারণ মানুষ খালি চোখে দেখতেই পারেন না। তবে প্রকাশ্যে এবার এমন এক তথ্য উঠে আসছে যা শুনলে সমগ্র বিশ্বের মানুষের পিলে চমকে যেতে পারে। এবার নাকি ধেয়ে আসছে বিধ্বংসী দুটি সৌরঝড়!
হ্যাঁ এমনই জানাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ভয়ঙ্কর বিপদের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এমনিতে বিশ্বে ঘনঘন জলবায়ু পরিবর্তন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং তো বিপদ বাড়াচ্ছেই সেইসঙ্গে রয়েছে পরমাণু বোমার মতো জিনিসের ব্যবহার বিশ্বের ক্ষতি আরো ডেকে এনেছে যেন। যদিও এসবের মাঝেই কয়েক গুণ শক্তিশালী সৌরঝড় নাকি পৃথিবী তাক করে ধেয়ে আসছে। এই সৌরঝড় এলে অনেক কিছু হতে পারে। যেমন ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া থেকে শুরু করে রেডিও সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যাবে, স্যাটেলাইটগুলির ওপর চাপ পরবে, বড়সড় ভূমিকম্প, সুনামি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, আবহাওয়ার বদল ঘটবে, পৃথিবীর ম্যাগনেটিক আকর্ষণ প্রভাবিত হতে পারে, যুদ্ধ, মহামারীর মতো ইত্যাদি জিনিস হতে পারে।
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে সৌরঝড় জিনিসটা কী আসলে? তাহলে জানিয়ে রাখি, এটি হল সূর্যের প্লাজমা। বিজ্ঞানীরা এবারে দু দুটি সৌরঝড়-এর ইঙ্গিত দিচ্ছেন। যেটি কিনা সূর্য থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসবে। যে কারণে আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন আসতে পারে। ইসরো জানাচ্ছে, সূর্যের এই চক্র ১১ বছরের হয়। আর এই ১১ বছরের সময়সীমার মধ্যে একবার সোলার মেক্সিমাম হয়। বিজ্ঞানীরা ২০২৫ সালে সৌরঝড়ের আশঙ্কা করেছিলেন। তবে এবার মনের হচ্ছে, চলতি বছরের শেষের দিকেই এটি ঘটতে পারে।
এই প্রসঙ্গে লন্ডন ইউনিভার্সিটির সৌর ভৌতিক বিজ্ঞানী এলভেক্স জেমস জানিয়েছেন যে সূর্যের তরফে বের হওয়া প্লাজমা বল বিশ্বের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।