শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বর্তমানে বিয়ের (Marriage) মরসুম চলছে। বিয়ে নিয়ে এমনিতেই সকলের উত্তেজনা তুঙ্গে থাকে। সে বর কনে হোক কিংবা তাঁদের চারিপাশে থাকা মানুষজন, সকলেই এই বিয়ের মতো পবিত্র জিনিস নিয়ে উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটতে থাকেন। তবে দেশে এবার এমন এক ঘটনা ঘটে গেল যা সকলকে অবাক করে রেখে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে এক অদ্ভুত কারণে বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। সবথেকে বড় কথা, বড় সরকারি চাকরি না থাকায় বিয়ের মণ্ডপেই বরকে বিয়ে করতে অস্বীকার করল কনে।
অদ্ভুত কারণে ভেস্তে গেল বিয়ে
ফারুখাবাদের ঘটনা অবাক করে রেখে দিয়েছে সকলকে। ছেলেটি ইঞ্জিনিয়ার, মাস গেলে এক লক্ষ টাকারও বেশি উপার্জন করে। শুধুমাত্র সরকারি চাকরি করে না বলে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছে তরুণী। মেয়ের কাণ্ড দেখে পাত্রপক্ষ কনে ছাড়াই বাড়ি ফিরে যায়। ফারুখাবাদের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল ঘটক। অভিযোগ, ওই মেয়েটিকে ও পরিবারকে বলা হয়েছিল ওই যুবক সরকারি ইঞ্জিনিয়ার। ২০ বিঘা জমির মালিক সে। কিন্তু বিয়ের দিন যা ঘটনা ঘটল তা দেখে তাজ্জব সকলে।
বরমালা পরানোর পর যা হল…
বিয়ের আসর বসেছিল ফারুখাবাদের গঙ্গাগলিতে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউসে। মেয়ের বাড়ির লোকেরাও খুব খুশি মনে স্বাগত জানায়। গভীর রাতে বিয়ের অনুষ্ঠানও ধুমধামের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। এদিকে রাত একটার দিকে নববধূ জানতে পারেন, ছেলে প্রাইভেট চাকরি করে। এরপরই মেয়েটি রেগে যান এবং সরাসরি ছেলেটির সঙ্গে তাঁর বাড়ি যেতে অস্বীকার করেন।
এদিকে ছেলের বাড়ির সদস্যরা যখন পাত্রীর বিয়ে না করার কারণ জানতে যান, তখন সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে এমন ছেলেকে সে বিয়ে করবে না। অনেকক্ষণ ধরে বোঝানোর পরেও নববধূ তার জেদে অনড় থাকেন। মেয়েটি বারবার বলতে থাকে কেন তাকে মিথ্যা বলা হচ্ছে।
ছেলেটি মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উপার্জন করে
ছেলেটি জানান, তিনি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করেন তিনি। তাঁর বেতন মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এমনকি বিশ্বাস করানোর জন্য কনেকে নিজের বেতনের স্লিপও দেখান তিনি। কিন্তু তাতে কনের ওপর কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে কিছুতেই কিছু না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফেরে ছেলে ও তাঁর পরিবারের লোকজন।