পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ ভারতবর্ষের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)। মাহিন্দ্রা গ্রূপের চেয়ারম্যান ও একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে তাকে সকলেই চেনেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয় তিনি। কারণ প্রতি সোমবার তার ‘Monday Motivation’ টুইট দেখার জন্য রীতিমত অপেক্ষায় থাকেন নেটিজেনরা। তবে জানেন কি কয়েক হাজার কোটির মালিক হওয়া সত্ত্বেও পুরোনো পুরোনো পৈতৃক বাড়িতেই থাকেন ও একেবারে সাদামাটা জীবনযাপন করেন আনন্দ মাহিন্দ্রা।
১৭,০০০ কোটির মালিক আনন্দ মাহিন্দ্রা
বর্তমানে মাহিন্দ্রা গ্রূপের চেয়ারম্যান হওয়ার দরুন বিপুল ১৭,০০০ কোটি টাকার মালিক আনন্দ মাহিন্দ্রা। শুধুমাত্র গাড়িই নয়, আইটি থেকে শুরু করে রিয়েল এস্টেট, ডিফেন্স এমনকি হসপিটালিটি সেক্টরেও একাধিক কোম্পানি রয়েছে তার। সব মিলিয়েই মাহিন্দ্রা গ্রূপের মোট কোম্পানির সংখ্যা ১৩৭টি। তবে এত টাকার মালিক হয়েও কেন মুম্বাইয়ের পৈতৃক বাড়িতেই থাকেন তিনি? এর পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ।
মুম্বাইয়ের পৈতৃক বাড়িতে থাকেন আনন্দ মাহিন্দ্রা
মুম্বাইয়ের আপস্কেল নেপিয়ান সি রোডে থাকেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। একসময় দাদু কে সি মাহিন্দ্রা এই বাড়িটা ভাড়া নিয়েছিলেন থাকার জন্য। পরবর্তীকালে আনন্দ মাহিন্দ্রা পরিবারের সাথে সেখানে চলে যান ও বড় হয়ে ওঠেন। একসময় বাড়ির মালিক সেটিকে ভেঙে নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা করে। সেই সময় পরিবারের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ২৭০ কোটি টাকা দিয়েই ১৩০০০ স্কোয়ার ফুটের জায়গাটি কিনে নেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। এরপর বাড়িটির নাম রাখেন ‘গুলিস্তান’ যার অর্থ ফুলের বাগান।
বাড়িটির প্রতিটি কোণায় রয়েছে তার বেড়ে ওঠার স্মৃতি। তাছাড়া আনন্দ মাহিন্দ্রা বিয়ের পর তার দুই কন্যা সন্তান হয়। আলীকা ও দিব্যা দুজনেই এই বাড়িতেই বড় হয়ে উঠেছিল। বর্তমানে দুই মেয়েই বিয়ে করে বিদেশে চলে গিয়েছেন। তবে যেহেতু ছোট থেকেই বাড়িটিতে সবাই মিলে থেকে এসেছেন তাই আলাদা করে কোনো এলাহি বাংলো বা বাড়ি না কিনে মুম্বাইয়ের এই বাড়িতেই থেকে গিয়েছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা।