সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: UPI-র পর এবার ULI (Unified Lending Interface)! রাজেশের মতো হাজার হাজার MSME-র জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এবার আসছে বিপ্লব। হ্যাঁ, পুণের রাজেশের গল্প সবাই ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছে। তিনি একজন ছোট কারখানার মালিক। সম্প্রতি এক বিরাট অর্ডার পেয়েছিলেন, যা পূরণ করতে দরকার ছিল 20 লাখ টাকার লোন। হাতে অর্ডার থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্কে গিয়ে তাকে শুধুমাত্র অপেক্ষা আর জটিল কাগজপত্রের মধ্য দিয়ে যেতে হল। আর সেই ফাঁকে অন্য লোক অর্ডারটি হাতিয়ে নিল।
হ্যাঁ, এরকম ঘটনা প্রতিদিন ঘটে চলেছে দেশের 6 কোটি 40 লক্ষ মাইক্রো, স্মল এবং মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ সংস্থার সঙ্গে। ব্যাঙ্কে গিয়ে লোন চাওয়া মানেই অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র আর দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অথচ, দেশজুড় চলছে UPI ব্যবহারের রমরমা।
UPI থেকে ULI—ডিজিটাল মাইলফলক ভারতের
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা, আধার ও মোবাইল ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামোকেই পুরো বদলে দিয়েছে। হ্যাঁ, এপ্রিল 2025 পর্যন্ত UPI-র মাধ্যমে প্রায় 17.8 বিলিয়ন লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে 23.94 লক্ষে দাঁড়াচ্ছে। তবুও এখনো পর্যন্ত 50 % MSME-র লোনের চাহিদা মেটেনি। কারণ দেশের এই খাতে লোনের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় 80 লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু নেপথ্যে কারণ কী?
আসলে ছোট ব্যবসায়ীদের অধিকাংশেরই পর্যাপ্ত আর্থিক রেকর্ড থাকে না এবং জমি-সম্পত্তি বন্ধক দিয়ে লোন নেন। আর ব্যাঙ্কগুলো অনেকটাই চলছে সেই পুরনো প্রযুক্তিভিত্তিক সিস্টেমে, যা নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। পাশাপাশি জমির রেকর্ড এক দপ্তরে, ব্যাঙ্কের তথ্য আবার অন্য জায়গায়। মানে একটার সাথে আরেকটার কোনও সংযোগ নেই। এর ফলে ঋণগ্রহীতারা বিপাকে পড়ছে।
এসবের একমাত্র সমাধান ULI
তবে এসব সমস্যার সমাধানের দিন চলে এসেছে। কারণ ULI এবার এক ছাতার নীচেই সবকিছু নিয়ে চলে এসেছে। হ্যাঁ, এটি এমন একটি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যা বিভিন্ন ডেটা স্টোর যেমন আয়কর রিটার্ন, জিএসটি থেকে শুরু করে জমির রেকর্ড, সবকিছু তথ্য ব্যাঙ্কের কাছে পৌঁছে দেয়।
আর এটি একপ্রকার ডিজিটাল বাজারের মতোই। কারণ এখানে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একাধিক ঋণের অফার একসঙ্গে দেখতে পাবেন। আর ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলি আপনার তথ্য পেয়ে ঝটপট ব্যাঙ্ককে জানিয়ে দেবে এবং আপনি নিজের সুবিধামতো পরিকল্পনাও বেছে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ বদলে গেল ৬৪ বছরের পুরনো নিয়ম, OBC নিয়ে বিরাট রায় সুপ্রিম কোর্টের
সময় ও কাগজপত্র, দুইই কমবে
জানা যাচ্ছে, এবার ULI প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে eKYC ও eSign, সবকিছুই ডিজিটাল ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে হবে। পাশাপাশি ঋণের জন্য এবার আর সপ্তাহ নয়, বরং ঘণ্টার মধ্যেই অনুমোদন মিলে যাবে। আর কাস্টমাইজ অফার বা সরাসরি DBT-র মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়বে। ফলে সময় এবং কাগজপত্র, দুইয়ের ঝামেলাই কমবে।
এর ফলে মূলত গ্রামীণ ঋণদাতারা, যারা এতদিন প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে ছিল, তারা উপকৃত হবে। পাশাপাশি যাদের ক্রেডিট স্কোর কম, তাদেরও ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে এবং দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কৃষক, মহিলা থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোও সুবিধা পাবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |