সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বর্তমান সময়ে একটা জিনিস নিয়ে গোটা বিশ্বে বিরাট আলোচনা হচ্ছে, আর সেটা হল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। ভারত সহ এখন বেশ কিছু দেশ রয়েছে যেখানে রোবোটিক সার্জারি থেকে শুরু করে আরও অত্যাধুনিক জিনিসের মাধ্যমে মানুষের সুবিধার্থে কাজ করা হচ্ছে। এই এআই সম্পর্কে শুনলেই বেশ কিছু প্রফেশনের মানুষ রয়েছেন যারা এখন আঁতকে উঠছেন। তাঁরা ভাবছেন, এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এলে তাঁদের আর চাকরি থাকবে কিনা সন্দেহ। তবে এমন ১০টি ফিল্ড রয়েছে যেখানে কর্মরত মানুষদের চিন্তা না করলেও চলবে। হ্যাঁ আজ এই আর্টিকেলে আলোচনা হবে AI এলেও কোন ১০টি চাকরি কখনই বিপদে পড়বে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
AI এলেও সুরক্ষিত থাকবে এই ১০টি চাকরি
স্বাস্থ্যসেবা: ডাক্তার, নার্স এবং চিকিৎসা অনুশীলনকারীদের ভূমিকা কেবল প্রযুক্তিগত জ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর মধ্যে রোগীর যত্ন, সহানুভূতি এবং নৈতিক বিচারও জড়িত, যা AI-এর জন্য চ্যালেঞ্জিং। যারা রোগীর শরীর থেকে রক্ত নেন কিংবা বিভিন্ন মেশিনের সাহায্যে রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন তাঁদের জায়গায় কোনওদিনও আসতে পারবে না বুদ্ধিমত্তা।
শিক্ষক: শিক্ষকরা কেবল জ্ঞান প্রদান করেন না, বরং শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন করেন, নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলেন এবং ব্যক্তিগত নির্দেশনা প্রদান করেন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে করতে পারে না। শিক্ষকরা সমাজ গড়েন, আর এই কাজ এআই কোনওদিনও করতে পারবে না।
আইনজীবী এবং পুলিশ অফিসার: আইনি বিষয়গুলির জন্য জটিল চিন্তাভাবনার প্রয়োজন। অন্যদিকে, পুলিশ অফিসারদের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সামাজিক সংবেদনশীলতার প্রয়োজন, যা AI-এর পক্ষে করা অত্যন্ত কঠিন।
সৃজনশীল শিল্পী: লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রকর এবং ডিজাইনাররা তাদের শিল্পকর্মে মানবিক আবেগ, অভিজ্ঞতা এবং সাংস্কৃতিক উল্লেখ অন্তর্ভুক্ত করেন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বুঝতে পারে না।
রাঁধুনি এবং রন্ধন বিশেষজ্ঞ: রান্না কেবল একটি রেসিপি অনুসরণ করা নয়; এর মধ্যে স্বাদ, উপস্থাপনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীর ধারণা জড়িত থাকে। আর এই কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পক্ষে আয়ত্ত করা কঠিন।
বিজ্ঞানী এবং গবেষক: উদ্ভাবন এবং নতুন গবেষণার জন্য কৌতূহল, সৃজনশীলতা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বর্তমান ক্ষমতার বাইরে।
কাউন্সেলর এবং থেরাপিস্টের কাজ হল মানুষের মন পড়া, তাঁরা কোনও সমস্যার মধ্যে আছেন কিনা সেটা বুঝে সমাধান করা। এই কাজটি এআই পারবে না। কারণ এআই-এর কোনও অনুভূতি নেই।
সমাজকর্মী: সমাজকর্মীদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে গভীরভাবে সংযোগ স্থাপন করতে হয়, মানুষের চাহিদা বুঝতে হয় এবং সহানুভূতির সাথে সমাধান প্রদান করতে হয়, যা AI-এর পক্ষে সম্ভব নয়।
এছাড়া শ্রমিক, রঙমিস্ত্রি, প্লাম্বার এবং ইলেকট্রিশিয়ানদের মতো পেশাদারদের কাজের জন্য শারীরিক দক্ষতা, সমস্যা সমাধান এবং মানবিক বোধগম্যতা প্রয়োজন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) করতে পারে না। এর পাশাপাশি প্ল্যান্ট এবং সিস্টেম অপারেটরদের কাজ এআই-এর পক্ষে করা সম্ভব নয়।