বিমানে ভুলেও নেবেন না এই ওষুধগুলি! ধরা পড়লেই দিতে হবে মোটা অংকের জরিমানা

Published on:

Airport Rules

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভারতে প্রতিদিন অনেক যাত্রী যেমন ট্রেনে ভ্রমণের করে ঠিক তেমনই অসংখ্য যাত্রী বিমানেও যাতায়াত করে থাকেন। যদিও প্লেনে ভ্রমণ করা খুবই সহজ। ট্রেনের তুলনায় খুব দ্রুত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায় খুব সহজে। তাইতো, প্রতিদিন ১০ লাখের বেশি মানুষ বিমানে যাতায়াত করে। তবে রেলে ভ্রমণের জন্য যেমন কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম করা হয়েছে, ঠিক তেমনি বিমানে ভ্রমণের জন্যও বেশ কিছু নিয়ম করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ওষুধ।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

বহন করা যাবে না নির্দিষ্ট ওষুধ!

রেলের মাধ্যমে যাতায়াত করার সময় যেমন লাগেজ, টিকিট নিয়ে একাধিক নিয়ম জারি করা হয়েছে। ঠিক তেমনই বিমানে যাতায়াত করার সময়ও লাগেজের যেমন নির্দিষ্ট নিয়ম (Airport Rules)থাকে। ওষুধপত্র নিয়েও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ আপনি বিমানে যাতায়াত করার সময় সব ধরনের ওষুধ বহন করতে পারবেন না।

বিশেষ করে দুবাইগামী ফ্লাইটে। একমাত্র সেই ওষুধগুলি বহন করতে পারবেন যেগুলিতে বিমান কর্তৃপক্ষ কোনো নিয়ম জারি করেনি। চলুন একনজরে সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বন্যপ্রাণী সামগ্রীর ওপরও নিয়ম জারি

বিমানবন্দর কর্তৃক জারি করা নিয়মাবলী সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু মাদকদ্রব্য ও নিষিদ্ধ ওষুধ যেমন কোকেন, হিরোইন, আফিম, পোস্ত দানা, ঘুমের ওষুধ ইত্যাদি দুবাইগামী ফ্লাইটে বহন করা যাবে না। শুধু তাই নয় বেশ কিছু খাদ্য এবং বন্যপ্রাণী সামগ্রীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

যেমন সুপারি বা কিছু নির্দিষ্ট ভেষজ পণ্য, হাতির দাঁত বা গন্ডারের শিং দিয়ে তৈরি বস্তু, মাছ ধরার জাল ইত্যাদি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ বই, চিত্রকর্ম ও শিল্প সামগ্রীজাত জিনিস নেওয়া যাবে না। যার মধ্যে অন্যতম হল পাথর খোদাই করা ভাস্কর্য।

আরও পড়ুন: জনগণনায় নেওয়া হবে লাখ লাখ কর্মী! মাসিক বেতন ৩৫ হাজার, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

এমনকি কোনো ব্যক্তি যদি বিমানে ভ্রমণ করার সময় তাঁর লাগেজ থেকে জাল মুদ্রা এবং ঘরে তৈরি খাবার নিয়ে যান, সেগুলিও বাতিল করে দেওয়া হবে। এবং কেউ যদি নিয়ম না মেনে জোর করে এই নিষিদ্ধ বস্তু বহন করে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে।

তবে বেশ কিছু দ্রব্য আছে যেগুলিতে আগাম অনুমতি মিললে বহন করা যায়। সেগুলি হল চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ, প্রসাধনী দ্রব্য, ওয়্যারলেস ইলেট্রিক ডিভাইস, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়, ই-সিগারেট এবং ইলেকট্রনিক হুক্কা।

ব্ল্যাক লিস্টে আছে অনেক ওষুধ!

উল্লেখ্য, দুবাইয়ে বিমান ভ্রমণের সময় কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু প্রেসক্রাইবড ওষুধ অর্থাৎ ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধগুলি কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল বেটামেথাডল, আলফা-মিথাইলফেন্টানাইল, গাঁজা, কোডক্সিম, ফেন্টানাইল, পপি, স্ট্র কনসেনট্রেট, মেথাডোন, অক্সিকোডো, ট্রাইমেপেরিডিন, ক্যাথিনোন, কোডিন এবং অ্যাম্ফিটামিন।

এর মধ্যে যদি একটাও আপনার লাগেজ ব্যাগে পাওয়া যায় তাহলে মোটা টাকা জরিমানা সহ জেলবন্দিও হতে পারেন। তাই দুবাই যাওয়ার আগে সব নিয়ম মেনেই লাগেজ প্যাকিং করুন।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group