শুয়োর থেকে এই নামকরণ! না এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ? জানুন বরাহ নগরের ইতিহাস

Published on:

baranagar

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বরানগর না বরাহনগর (Baranagar), এই নিয়ে সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তির শেষ নেই। দুটো কি একই জায়গা নাকি আলাদা আলাদা দুটি জায়গা সে নিয়েও সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। তবে চিন্তা নেই, আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের যাবতীয় কনফিউশনের শেষ হবে। বরাহনগর রেল স্টেশনে গেলে অনেকেই আছেন যারা মাথা চুলকান। ইংরেজিতে লেখা Baranagar, বাংলায় উচ্চারণ করলে হয় বরানগর। আবার বাংলায় লেখা বরাহনগর। এরকম কেন লেখা থাকে তা নিয়ে সবাই ভাবনায় পড়ে যান।

বরানগর না বরাহনগর?

WhatsApp Community Join Now

এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে বরানগর বা বরাহনগর নাম কি করে হল? তাহলে জেনে নিন ইতিহাস। এই দুটি নাম নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়। অনেকে অনেক রকমের ইতিহাস বলেন। কেউ বলেন খুব প্রাচীন কালে এখানে ‘বরাহ’ নামের এক মুনি থাকতেন। তাঁর নাম অনুসারেই জায়গাটার নাম হয় ‘বরাহনগর’। আবার কিছু লোকের মতে, এই বরাহ মুনি আর কেউ নন, খোদ সম্রাট বিক্রমাদিত্যের সভায় নবরত্নের এক রত্ন – বরাহমিহির।

জানুন ইতিহাস!

বহু বছর আগে বরাহনগর জঙ্গলে ঘেরা একটা জায়গা । তখন এই অঞ্চলে প্রচুর ময়ূর পাওয়া যেত।শুরু হলো ময়ূরের পালক বিক্রির ব্যবসা। ‘বরহা’ মানে ময়ূরের লেজ।মনে করা হয় ‘বরহা’ শব্দটাই ‘বরাহনগর নামের উৎস হতে পারে ।

ঔপনিবেশিক যুগে এখানে বিশাল কসাইখানায় বছরে প্রায় ৩০০০ শুয়োর জবাই করা হত বলেও শোনা যায়। তবে শুয়োর বা বরাহ থেকেই এই জায়গার নামকরণ হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। বরানগর অবস্থিত হুগলী নদীর পারে। কয়েকশো বছর আগে এখানে নদী পথে বাণিজ্য চলতো। তখন পানিহাটিতে ছিল বড় নৌ বন্দর। জুট মিলের ব্যবসা তখনও শুরু হয়নি। ঐ সময় হলুদের ব্যবসায়ী রা এখানে হলুদ জমা করতো বর্তমানে যা আলমবাজার ঘাট নামে পরিচিত। এখানেই চলতো হলুদের ব্যবসা। হলুদ কে বলা হয় বরা, তার থেকেই হয় তো এই অঞ্চলের নাম বরানগর।

সঙ্গে থাকুন ➥