শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো (Joka BBD Bag Metro) প্রকল্পে আর রইল না কোনো বাধা। কারণ এবার সেনার তরফে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার জেরে সব কাজ সহজেই হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগেই জোকা-এসপ্ল্যানেড করিডরে (পার্পল লাইন) এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শহীদ মিনারের দক্ষিণে একটি প্লট পর্যন্ত বিধান মার্কেট থেকে বহু হকারকে তুলে দেওয়া হয়। তবে এবার সকলকে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
মেট্রোর কাজে আর রইল না বাধা
বিগত বেশ কিছু মাস আগেই রাজ্য সরকার, পুলিশ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হওয়ায় গতি পেয়েছে মেট্রো প্রকল্পে। ময়দান মার্কেট অর্থাৎ ধর্মতলার বিখ্যাত বিধান মার্কেটের ৫২৮ জন ব্যবসায়ীকে কার্জন পার্কে ‘পুনর্বাসন’ দিতে রাজি হয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগ। আসলে জোকা-এসপ্ল্যানেড করিডরে (পার্পল লাইন) এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন নির্মাণের কাজ ও লাইনের ক্ষেত্রে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল এই বিধান মার্কেট। এদিকে সেনার অনুমতি ছাড়া হকার উচ্ছেদ কিংবা কোনো কাজ করতে পারছিল না মেট্রো। কারণ ধৰ্মতলার কিছু অংশ একদমই সেনার অধীনে। ফলে কাজ করা অতটাও সহজ নয় সেখানে।
জানা গিয়েছে, জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এই লাইনের পাঁচ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বা তিন কিলোমিটার অংশই কলকাতার ময়দান এলাকা দিয়ে গিয়েছে। আর এই ময়দান এলাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সম্পত্তি। কাজেই সেনাবাহিনীর তরফে বিধান মার্কেটের পুনর্বাসনের অনুমতি না–মিললে পার্পল লাইনকে হয়তো এসপ্ল্যানেডের পরিবর্তে পার্ক স্ট্রিটেই থেমে যেতে হতো।
এদিকে বছরের পর বছর ধরে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এই বাজারকে ভেঙে ফেলার প্রস্তাব উঠতেই আপত্তি জানিয়েছিলেন বাজারের ৫২৮ জন ব্যবসায়ী। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, কার্জন পার্কে একটি বহুতলে ওই বাজারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানেই আপত্তি করে সেনাবাহিনী। তবে এবার সেই কাজে অনুমতি দিল সেনাবাহিনী।
আর থাকবে না বিধান মার্কেট!
সেনাবাহিনীর অনুমতির ফলে এনার কার্জন পার্কে উঠে যাবে বিধান মার্কেট। যদিও এটা অস্থায়ী হিসেবে থাকবে। এদিকে সেনার তরফে এহেন অনুমতি মেলার পরে পোয়া বারো হয়েছে কলকাতা মেট্রোরও।












