সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এবার থেকে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় বসা অতটাও সহজ হবে না। কারণ পড়ুয়াদের জন্য নতুন নিয়ম জারি করেছে CBSE বোর্ড (CBSE Board)। 15 সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি নোটিশে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে বোর্ড পরীক্ষায় বসতে গেলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যদি একটি শর্তও না মানা হয়, তাহলে পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপই করা যাবে না। চলুন দেখে নেওয়া যাক, নতুন নিয়মে কী কী আসছে—
দুই বছরের কোর্স বাধ্যতামূলক
CBSE বোর্ড এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দশম শ্রেণী মানে শুধুমাত্র দশম নয়, বরং নবম-দশম মিলিয়ে দুই বছর পড়াশোনা করতে হবে। একইভাবে দ্বাদশ মানে একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে দুই বছরের কোর্স, অর্থাৎ মাঝামাঝি সময়ে এসে বোর্ড পরীক্ষায় বসার আর কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না।
ন্যূনতম 75% হাজিরা
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় বসতে গেলে এবার ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত স্কুলে আসতে হবে। হ্যাঁ, কমপক্ষে 75 শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে। হাজিরা কম হলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।
ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট অপরিহার্য
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, এবার প্রতিটি বিষয়ের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি এক বছরের জন্য নয়, বরং দুই বছর ধরেই চলবে। হাজিরা না থাকলে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট দেওয়া যাবে না, আর ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট না দিলে পড়ুয়ারা কোনওভাবেই বোর্ড পরীক্ষায় বসতে পারবে না।
স্কুল ও বিষয়ে অনুমোদিত হতে হবে
কোনও স্কুল যদি CBSE বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনও বিষয় পড়ায়, এমনকি সেই বিষয়ের শিক্ষক কিংবা প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকে, তাহলে সেই বিষয় নিয়ে আর কোনও ভাবে বোর্ড পরীক্ষায় বসা যাবে না।
অতিরিক্ত বিষয়ে কড়াকড়ি
দশম শ্রেণীতে পাঁচটি মূল বিষয়ের পাশাপাশি এবার আরও দুটি অতিরিক্ত বিষয় নেওয়ার সুযোগ থাকছে। দ্বাদশ শ্রেণীতে রয়েছে আরেকটি অতিরিক্ত বিষয়। কিন্তু এই বিষয়গুলি নিলে টানা দুই বছর ধরেই পড়তে হবে। শুধু শেষ বছরে নিলে চলবে না।
কম্পার্টমেন্ট এবং এসেনশিয়াল রিপিট নিয়ম
যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী আগের বছর অতিরিক্ত বিষয়ে ফেল করেছে কিংবা এসেনশিয়াল রিপিট হয়েছে, তারা এবার সেই বিষয় নিয়ে শুধুমাত্র প্রাইভেট প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ দেরাদুনে মেঘভাঙা বৃষ্টির তাণ্ডব! স্রোতে ভেসে গিয়েছে ১২ জন, মৃত ৩
আর সর্বশেষে CBSE বোর্ড জানিয়েছে, এই শর্তগুলির কোনও একটি যদি পূরণ না করা হয়, তাহলে ছাত্রছাত্রী নিয়মিত হোক কিংবা প্রাইভেট বোর্ড, পরীক্ষায় কোনওভাবেই বসতে পারবে না। কারণ বোর্ড দাবি করছে, ছাত্র-ছাত্রীদের মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অনেক সময় দেখা যায় যে, শেষ মুহূর্তে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে, এমনকি নিয়মিত ক্লাস করে না। এই পদক্ষেপ সেগুলিকে রোধ করার জন্যই।