কথাতেই আছে, সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে। এমনটা আবার বলে গিয়েছেন আচার্য চাণক্য নিজেও। জীবনে একজন সঠিক জীবনসঙ্গী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। পুরুষ হোক বা মহিলা, জীবনসঙ্গীকে ভালো হওয়া উচিৎ। আর জীবনসঙ্গী যদি ভালো না হয় তাহলে জীবনটা নরকের থেকে কম কিছু হয় না। আজ মহিলাদের নিয়ে চাণক্য নীতির আলোচনা হবে।
মহিলাদের নিয়ে যা বলেছেন আচার্য চাণক্য
আসুন আপনিও জেনে নিন আচার্য চাণক্য মহিলাদের নিয়ে কী বলে গিয়েছেন। চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে, যে মহিলা মনের দিক থেকে শান্ত থাকেন তিনি কোনও অবস্থাতেই রেগে যান না। তিনি স্থান এবং সময় অনুযায়ী চিন্তাভাবনা করে কাজ করতে সক্ষম। এ ধরনের নারী স্বামীর জীবনে সুখ বয়ে আনেন।
চাণক্য বলে গিয়েছেন, তাড়াহুড়ো করা শয়তানের কাজ। আর তাড়াহুড়ো করে কোনও কাজ করলে অশান্তির সম্ভাবনাও প্রবল হয়ে যায়। কিন্তু যে নারী ধৈর্য ধরে কাজ করে সে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতেও মাথা উঁচু করে চলতে পারেন। পুরুষদের ধৈর্যশীল নারীকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন চাণক্য। কারণ একজন পুরুষের সংসার চালানোর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে স্ত্রীর ওপর।
মহিলাদের নিয়ে চাণক্য নীতি
চাণক্যের মতে, একজন মহিলার সব সময় অর্থ সঞ্চয় করা প্রয়োজন। যে ব্যক্তির স্ত্রীর অর্থ সঞ্চয় করেন, তিনি সহজেই যে কোনো খারাপ সময়ের সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আপনিও নিশ্চয়ই কখনো না কখনো দেখে থাকবেন, খুব খারাপ পরিস্থিতিতেও আপনার মা, বোন হোক বা স্ত্রী, কোনো না কোনোভাবে আপনার হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রযান, Aditya-L1 অতীত! এবার ইচ্ছেমত সূর্যগ্রহণ করাবে ISRO, শুরু নয়া অভিযান
আপনি জানলে অবাক হবেন, একজন ধার্মিক নারী তার স্বামীর ভাগ্য পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। তিনি সর্বদা তার পরিবারকে অন্যায়ের হাত থেকে রক্ষা করেন, যাতে ঈশ্বরের অনুগ্রহ সর্বদা বাড়ির লোকদের উপর থাকে। তাই চাণক্য সর্বদা এমন মহিলাকেই বিয়ে করার পরামর্শ দেন যিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন এবং ধর্ম অনুসরণ করেন।