প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে হিন্দু ধর্মে পূর্ণিমা তিথির গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এই পূর্ণিমার মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণিমাও রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল মাঘী পূর্ণিমা। প্রতি মাসের শুক্লপক্ষের শেষ তিথিতে এই পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়। অনেকে ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্ণিমাকে দেশের বহু জায়গাতেই মাঘী পূর্ণিমা বলা হয়। এছাড়াও শাস্ত্রে এই পূর্ণিমাকে পূর্ণিমা তিথি বলিষ্ঠ এবং সৌম্য তিথি নামেও ডাকা হয়। এই দিনে চাঁদ সম্পূর্ণ গোলাকার রূপে আকাশে ফুটে ওঠে, তাই এই দিনটিকে ফুল মুনও বলা হয়।
কবে পড়ছে মাঘী পূর্ণিমা?
জ্যোতিষ শাস্ত্রে গণনা অনুযায়ী দেখা গিয়েছে চলতি বছর মাঘী পূর্ণিমা পড়েছে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫৬ মিনিট থেকে। এবং এই পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিটে। এই দিনে গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থল প্রয়াগে স্নান করলে ভক্তদের শুভ ফল লাভ হয়। তার উপর চলছে মহাকুম্ভের মেলা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই সময় পূণ্যস্নান করতে দেখা যায় ভক্তদের।
সনাতন ধর্মে বলা আছে যে এই সময়কালে ভোরে স্নানের পর তিল দান করলে মেলে বিশেষ লাভ। এছাড়াও, এই বিশেষ দিনে, অভাবী মানুষদের দান করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিষ্ণুদেবের আশীর্বাদ সবসময় সঙ্গ দেয়। যার ফলে বিপদমুক্ত থাকা যায়। অনেকে এই পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী নারায়ণ এবং রাধা কৃষ্ণের পুজো করে থাকে। মাঘ পূর্ণিমায় সূর্যোদয়ের আগে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গঙ্গায় স্নান করতে হবে। এরপর সূর্য মন্ত্র জপ করে সূর্য দেবতাকে জল নিবেদন করা হয় এবং উপবাসের সংকল্প নেওয়া হয়। এই দিনে ভগবান মধুসূদনের পুজো করার একটি রীতি রয়েছে।
রয়েছে শিববাস যোগ
এছাড়াও ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মাঘী পূর্ণিমার দিনে সূর্য ও চন্দ্র উভয়ের পূজা করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় এবং কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে এই পূর্ণিমায় সৌভাগ্য ও শোভন যোগ রয়েছে। এছাড়াও, অশ্লেষা ও মঘা নক্ষত্রের সংযোগের পাশাপাশি শিববাস যোগও থাকছে। তাই এই বিশেষ যোগে গঙ্গাস্নান করলে অক্ষয় ফল লাভ হয়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |