বৈশাখী মণ্ডল, কলকাতাঃ হঠাৎ করেই আবহাওয়া বদলে নিম্নমুখী হয়েছে পারদের তাপমাত্রা। ফলে এই সুযোগেই সক্রিয় হয়েছে ব্যাকটেরিয়াগুলো। তাই প্রতি ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে এই সমস্ত বিষয়ে বেশি করে দেখা দিতে শুরু করেছে।
আপনার বাচ্চার যদি বেশি এইসব থেকে থাকে, তবে যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে যান। এবং তিনি যেই ঔষধ গুলো খেতে বলবেন সেই নিয়মে খাওয়ানো শুরু করে দিন। এর সাথে সাথে আপনার বাচ্চা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে তার জন্য আপনাকেও ঘরে তার ডায়েটে কিছু এক্সট্রা প্রোটিন অ্যাড করতে হবে। বাচ্চার ডায়েটে কিছু অত্যন্ত উপকারী খাবার যোগ করে দিলে আপনার বাচ্চা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। সাথে দূর হবে তার দুর্বলতা।
ডিম
ডিম অবশ্যই খেতে হবে। ডিমে ভিটামিন ডি এবং জিঙ্ক থাকার ফলে এটি অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য। আর এই দুটো উপাদান শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ভাইরাসের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে শরীর। আবার ডিমের প্রথম শ্রেনীর প্রোটিন আছে। এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তির যোগান দেয়। তাই চেষ্টা করবেন ডিমটা ডায়েট এ রাখার।
পিনাট বাটার
পিনাট বাটার বাচ্চার ডায়েটে রাখবেন। এতে ভিটামিন ই ও সাথে রয়েছে প্রোটিন, জিঙ্ক। ফলে ইমিউনিটি বাড়ে। হজমের সাহায্য করে। সাথে পেশির ব্যাথা কমে। বাচ্চাকে ব্রাউন ব্রেডের উপর পিনাট বাটার লাগিয়ে খাওয়াতে পারেন। আবার দুটো পাউরুটির মাঝে পিনাট বাটার টা লাগিয়ে কিছু সালাদ যোগ করে স্যান্ডউইচ বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। তাতেও ছোটো বাচ্চাটার শরীর সুস্থ হয়ে উঠবে।
তরমুজ
একটু খোঁজ করে দেখবেন আজকাল সবসময় বাজারে তরমুজ পাওয়া যায়। হয়তো তার মূল্য একটু বেশি হয়। তার চিন্তা না করে কিনে এনে আপনার সন্তানকে খাওয়ান। তাতেই তার জ্বর ঠিক হয়ে যাবে। তরমুজে থাকে প্রচুর পরিমাণে জল। তার সাথে রয়েছে ভিটামিন ও ভিটামিন সি-ও অনেক পরিমাণে। তাই তরমুজ খেলে শরীরে ইমিউনিটি বাড়ে এবং জ্বর তারাতারি ঠিক হয়ে যায়।
চিকেন
চিকেন আপনার বাচ্চা যদি খেতে পছন্দ করেন তবে অবশ্যই নিয়োমিত তার ডায়েটে যুক্ত রাখুন। চিকেনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনও আছে। এর সাথে চিকেন দ্রুত হজম হয়। তাই জ্বরের সময়ে বাচ্চাকে চিকেন খাওয়ালে বাচ্চা তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠবে। শরীরের ক্লান্তি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
কমলা লেবু
কমলা লেবু খুবই উপকারী একটি ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। শরীর ভাইরাস মুক্ত করে। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে নিয়োমিত কমলা লেবু খাওয়ান।