সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতীয় রেল (Indian Railways) যেন দেশের প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কখনো সবুজ ধান ক্ষেতের মধ্য দিয়ে রেলের চাকা গড়াচ্ছে, আবার কখনো পাহাড়ি ঝরনা বা মরুভূমির মধ্য দিয়ে! হ্যাঁ, ট্রেনের জানলা দিয়ে তাকালেই যেন দেখা যায় একেক দৃশ্য। তবে আজ আমরা এই প্রতিবেদনে জানবো এমন দশটি ট্রেন রুটের কথা, যেগুলি সবথেকে বেশি দীর্ঘ এবং সবচেয়ে বেশি সময়সাপেক্ষ।
ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী বিবেক এক্সপ্রেস
ভারতীয় রেলের ইতিহাসে সবথেকে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে এই ট্রেনটি, যার নম্বর 15905/15908। হ্যাঁ, ডিব্রুগড় এবং কন্যাকুমারীর মধ্যে মোট দূরত্ব 4273 কিলোমিটার এবং ট্রেনটি পৌঁছতে সময় লাগে 82 থেকে 85 ঘন্টা। ভারতের এক প্রান্ত অসমের ডিব্রুগড় থেকে দক্ষিণ প্রান্ত কন্যাকুমারী পর্যন্ত চলা এই ট্রেনটি দেশের সবথেকে দীর্ঘতম ট্রেন রুট, এমনকি আটটি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে এই ট্রেনটি চলে।
তিরুবনন্তপুরম-শিলচর অরোনাই এক্সপ্রেস
কেরালা তিরুবনন্তপুরম থেকে অসমের শিলচর পর্যন্ত এই ট্রেনটি 3915 কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। এই ট্রেনটির নম্বর 12507/12508। আর ট্রেনটি তিরুবনন্তপুরম থেকে শিলচর পর্যন্ত পৌঁছতে সময় নেয় প্রায় 74 ঘন্টা।
হিমসাগর এক্সপ্রেস
জম্মু তাওয়াই থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত চলা এই ট্রেনটি 3989 কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। ট্রেনটির নম্বর 18317/16318। উত্তরের হিমালয় থেকে দক্ষিণের সমুদ্র পর্যন্ত এই ট্রেনটি পৌঁছতে সময় নেয় প্রায় 73 ঘন্টা।
তীরুনেলভেলি–জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস
দক্ষিণ ভারতের এক্কেবারে শেষ প্রান্ত তীরুনেলভেলি থেকে জন্মু তাওয়াই পর্যন্ত এই ট্রেনটি মোট 3642 কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। আর এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ট্রেনটি সময় নেয় 70 ঘন্টা। জানিয়ে রাখি, ট্রেনটির নম্বর 16787/16788।
নবযুগ এক্সপ্রেস
মাঙ্গালুরু থেকে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীমাতা বৈষ্ণদেবী কাটরা পর্যন্ত এই ট্রেনটি পৌঁছতে সময় নেয় 68 থেকে 72 ঘন্টা। ট্রেনটির নাম্বার 16887/16688। এই রুটে 3607 ট্রেনটি কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে বলেই খবর।
ডিব্রুগড়-লালগড় অবধ অসম এক্সপ্রেস
অসমের বিখ্যাত চা বাগান থেকে রাজস্থানের মরু অঞ্চল পর্যন্ত ছুটে চলা এই ট্রেনটি 3131 কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। এই ট্রেনটির নম্বর 15909/15910। এই দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে ট্রেনটির 65 ঘন্টা সময় প্রয়োজন হয়।
শিলচর-কোইম্বাটুর এক্সপ্রেস
অসমের প্রান্তিক শহর শিলচর থেকে তামিলনাড়ুর কোইম্বাটুর পর্যন্ত এই ট্রেনটি 3525 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। ট্রেনটির নম্বর 12515/12516 এবং ট্রেনটি পৌঁছতে সময় নেয় 68 থেকে 70 ঘন্টা।
বিকানের-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস
রাজস্থানের মরুভূমির শহর থেকে অসমের ডিব্রুগড় পর্যন্ত এই ট্রেনটি 65 ঘন্টা সময় নিয়ে অতিক্রম করে। হ্যাঁ, ট্রেনটি মোট 3048 কিলোমিটার দূরত্বে পাড়ি দেয় এবং এই ট্রেনটির নম্বর 15910/15909।
হাওড়া-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস
বাংলার প্রাণভোমরা শহর হাওড়া থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত এই ট্রেনটি 2431 কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এবং ট্রেনটি পৌঁছতে মোট সময় নেয় মোট 47 ঘন্টা। এই ট্রেনটির নম্বর 12865/12668।
আরও পড়ুনঃ গরমের ছুটির পর আগামীকালই খুলছে স্কুল, তার আগে বড় বৈঠক প্রশাসনের
যশবন্তপুর-বারমের এসি এক্সপ্রেস
ট্রেন নম্বর 14805/14/808, যশবন্তপুর থেকে রাজস্থানের বারমের পর্যন্ত পৌঁছতে মোট 43 ঘন্টা সময় নেয়। আর এই রুটে মোট 2271 কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এই ট্রেনটি।