সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: মোবাইল খুলে শুধু মুখ স্ক্যান (Face Authentication) করলেই হবে! হ্যাঁ, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে পিএফ অ্যাকাউন্ট। জানা গেল, এবার থেকে EPFO সদস্যরা খুব সহজে মুখ দেখিয়েই জেনারেট করে নিতে পারবে UAN নম্বর। এমনই ঘোষণা করে বসেছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। তবে কবে থেকে চালু হচ্ছে এই নিয়ম এবং কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
UAN কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
UAN হল ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং এটি সবার ক্ষেত্রে ইউনিক হয়। এর মাধ্যমে কোনও কর্মীর পিএফ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানা যায়। এমনকি চাকরি বদলালেও একই UAN নম্বর দিয়ে নতুন পিএফ অ্যাকাউন্টে যুক্ত হতে হয়। বলে দিই, চাকরি শুরু করতে গেলে বা পিএফ ব্যালেন্স দেখতে গেলে, পিএফ উইথড্রল করতে গেলে কিংবা ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে গেলেও UAN নম্বর লাগে।
মুখ দেখালেই হবে UAN নম্বর
নতুন কর্মচারী বা প্রথমবার যারা পিএফ অ্যাকাউন্ট খুলছে, এবার তারা খুব সহজে মুখ দেখিয়েই UAN নম্বর জেনারেট করতে পারবে। এর জন্য প্রথমে UMANG অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তারপর আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নাম্বার দিয়ে লগইন করতে হবে। তারপর “UAN Issuance and Activation through Face Authentication” অপশন সিলেক্ট করে ক্যামেরা খুলে নিজের মুখে স্ক্যান করলেই হয়ে যাবে UAN নম্বর।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ফেস অথেন্টিফিকেশন মূলত ওটিপি, ডেমোগ্রাফিক বা বায়োমেট্রিকের থেকে বেশি নিরাপদ। আর এটি 100 শতাংশ আধার যাচাই করে। এমনকি অন্য কারো সাহায্য ছাড়া নিজে নিজেই পরিষেবা পাওয়া যায়। পাশাপাশি অফিস বা HR-র কাছেও ছোটাছুটি করার প্রয়োজন পড়ে না।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে বড় বিপদ! অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
পেনশনভোগীদেরর জন্য বিরাট সুখবর
শ্রমমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে জীবন প্রমাণপত্র বা ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ফেস অথেন্টিফিকেশন প্রযুক্তি চালু করা হবে। এমনকি MY Bharat ভলেন্টিয়ারদের মাধ্যমে এই পরিষেবা সমস্ত পেনশন প্রাপকদের বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে শ্রমমন্ত্রী।
বলে রাখি, মন্ত্রী এদিন বিহারের ছয়টি জেলা আরারিয়া, সাহারসা, অরঙ্গাবাদ, বানকা, পূর্ব চম্পারণ ও গোপালগঞ্জকে ESIC-র আওতায় জানার ঘোষণা করেছেন। এর ফলে আরও 24 হাজার নতুন কর্মী EPFO-তে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানা যাচ্ছে।
