সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পরবর্তী বাজেট (Budget) পেশের আর মাত্র তিন মাস বাকি। আর তার আগেই সরকার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এমনকি শিল্প সংস্থাগুলি বাজেট নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিচ্ছে। সম্প্রতি শিল্প সংগঠন পিএইচডি চেম্বার্স অফ কমার্স সাধারণ মানুষের উপর আয়কর ছাড় (Income Tax Exemption) দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। আর সে অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এবার ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর নাকি আয়কর কমানো হবে। আদৌ কি তাই?
৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়?
শিল্প সংগঠনটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বার্ষিক ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর এবার আয়কর অনেকটাই কমানো হতে পারে। কারণ, শিল্প সমিতি নতুন কর ব্যবস্থার আওতায় প্রযোজ্য ৩০% করের হার বাড়িয়ে এবার ৫০ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য করার আহ্বান জানিয়েছে। বলাবাহুল্য, বর্তমানে ৩০% স্ল্যাব বার্ষিক ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর দাতাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে এবার এই প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে শিল্প সমিতির রাজস্ব সচিব অরবিন্দ শ্রীবাস্তবের কাছে। এমনকি তারা পরোক্ষ করের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে।
জানিয়ে রাখি, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে তার আগেই এই শিল্প সংস্থা কর্পোরেট কর ২৫% এর নীচে নিয়ে আসার সুপারিশ দিয়েছে। এমনকি তারা জানিয়েছে যে, কর্পোরেট কর যা আগে ৩৫% ছিল, এখন তা ২৫%-এ কমিয়ে আনা হয়েছে। আর এর ফলস্বরূপ কর আদায় ২০১৮-১৯ সালে ৬.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এখন ৮.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলে রাখি, গত বাজেট পেশের সময় বছরে ১২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর সম্পূর্ণ আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
৫০ লক্ষ টাকার বেশি আয় হলেই ৩০% কর?
শিল্প সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ব্যক্তিগত করের হার ৩০%, যার মধ্যে ৫% থেকে ২৫% সারচার্জ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এমনকি এর ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ৩৯%-এ দাঁড়ায়। ফলত, একজন সাধারণ ব্যক্তির আয়ের ৪০% সরকারের কাছে চলে যায়। তাই সংস্থা জানিয়েছে যে, সর্বোচ্চ করের হার এবার ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ২০%, ৩০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ২৫%, আর যাদের বার্ষিক আয় ৫০ লক্ষ টাকার বেশি, তাদের উপরেই ৩০% করা আরোপ করা উচিৎ।
আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে স্বাধীনভাবে থাকলেও … বাংলাদেশে কবে ফিরবেন জানিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা
তবে সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, দেশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আয়কর আইনের ধারা ১১৫BAB সংশোধন করতে হবে যাতে নতুন উদ্যোগগুলোতেও কর ছাড় দেওয়া যায়। এমনকি প্রাথমিক কর ১৫% এর বেশি হওয়া উচিত নয়। বলাবাহুল্য, সরকার ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই করের স্ল্যাব কার্যকর করেছিল। তবে আগামী বাজেটে যদি করের হার কমানো হয়, তাহলে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে আমজনতাদের জন্য হবে তা বিরাট খুশির খবর।












