সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতীয় রেল (Indian Railways), যা লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের নিত্যদিনের যাতায়াতের প্রধান ভরসা। তবে রেলে যাত্রা কি সত্যিই নিরাপদ? উঠছে প্রশ্ন! আর প্রশ্নটা আরো জোরালো হচ্ছে, কারণ সাম্প্রতিক সময়ে পরপর দুটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রেনের মিডিল বার্থকে কেন্দ্র করে। কারণ, ট্রেনের এই মিডিল বার্থ যেন বর্তমানে জীবনহানির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ঘটছে দুর্ঘটনার পর দুর্ঘটনা
সূত্র মারফত খবর, প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিশূর থেকে আগ্রাগামী মিলেনিয়াম এক্সপ্রেসে। জানা যাচ্ছে, কেরালার এক বাসিন্দা আলি খান লোয়ার বার্থে ঘুমাচ্ছিলেন। আর হঠাৎ করেই তার উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মিডিল বার্থ। এমনকি ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
আরও এক সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাই-পালাক্কাড এক্সপ্রেসে। চেন্নাইয়ের যাত্রী সুরিয়া মুরুগান লোয়ার বার্থে ঘুমাচ্ছিলেন। আর আচমকাই তার উপরও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মিডিল বার্থ। সূত্রের খবর, প্রাণে বেঁচে গেলও গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
ICF কোচ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
সূত্র মারফত খবর, এই দুই ঘটনাই ঘটেছে ICF কোচের মিডিল বার্থে। কারণ, বহু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আজও ভারতের অনেক ট্রেন চলছে এই পুরনো ICF কোচ নিয়ে। অথচ রেলমন্ত্রক দাবি করছে, ধীরে ধীরে সমস্ত ট্রেনকে LHB করা হবে। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে লবডঙ্কা। এখনো ICF কোচের উপর ভরসা করেই প্রতিদিন যাত্রা করছে লক্ষ লক্ষ ভারতীয়। আর এই কোচই জীবনহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
রেলমন্ত্রকের নয়া সিদ্ধান্ত
এমতাবস্থায় রেলমন্ত্রক বড়সড় পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে। এবার থেকে রাত 10 টা থেকে ভোর 6 টা পর্যন্ত নাকি ট্রেনে মিডিল বার্থ ব্যবহার করা যাবে। হ্যাঁ, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। আর বাকি সময়ে তা ভাঁজ করে রাখতে হবে। অর্থাৎ, দিনের বেলা আর মিডিল বার্থ ব্যবহার করতে পারবে না যাত্রীরা।
রেল বোর্ডের শীর্ষ সূত্র মারফত খবর, এই নিয়মের মূল উদ্দেশ্য, যাতে লোয়ার বার্থে থাকা যাত্রীদের আর কোনোরকম সমস্যা না পোহাতে হয় তার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি মিডিল বার্থ ঠিকভাবে ফোল্ড করতে হবে এবং সুরক্ষার চেন ঠিকভাবে লাগাতে হবে, এমনটাও নির্দেশ রেল বোর্ডের।
আরও পড়ুনঃ আরও ২% DA বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের, সঙ্গে আরও সুবিধা
নজরদারির অভাবেই ঘটছে দুর্ঘটনা?
এই দুই ঘটনার পর উঠছে একাধিক প্রশ্ন। আদৌ এই নিয়মের বাস্তবায়ন ঠিক কতটা কার্যকর হবে? কারণ যে সময়ে মিডিল বার্থ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাহলে কি রেলের নজরদারির ঘাটতি?
এমনকি এই ঘটনার পর আহত মহিলার স্বামী অভিযোগ জানিয়েছেন জিআরপিতে। তিনি দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের TTE-র কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার বক্স চাওয়া হলেও তিনি তা দেয়নি। বরং বলা হয়েছে, পরবর্তী স্টেশনে নেমে চিকিৎসা করিয়ে নিতে। আর এইসব প্রশ্নের জবাব চাইছে সাধারণ যাত্রীরা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |