বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ট্যারিফ নিয়ে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক কিছুটা ভিন্ন খাতে বয়ে গেলেও মহাকাশে যৌথভাবে নজির গড়ল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং আমেরিকার নাসা।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত হিমবাহ, জঙ্গল ও ভূমিকম্পন জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খবর আগে থেকে পেতেই মহাকাশে বসানো হলো বিরাট রাডার অ্যান্টেনা।
ইসরো এবং নাসার যৌথ উদ্যোগে মহাকাশে বসলো রাডার অ্যান্টেনা
অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা যৌথ উদ্যোগে সিন্থেটিক অ্যাপারচার মিশন শুরু করে। আর সেই যৌথ অভিযানের হাত ধরেই মহাশূন্যে স্থাপন করা হলো নয়া অ্যান্টেনা।
এই রাডার অ্যান্টেনাটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কথা বলতে হলে, এর দৈর্ঘ্য 33 ফুট। যেটি পৃথিবী থেকে 460 মাইল দূরে মহাকাশে স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন রাডার অ্যান্টেনাটি যেকোনও দুর্যোগপূর্ণ আবহে আগে থেকে বার্তা পাঠাবে।
বলা বাহুল্য, মহাশূন্যে নিসার উপগ্রহটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রপালশন ল্যাবরেটরি এবং ইসরো। অর্থাৎ দুই দেশের মহাকাশ সংস্থার কাছেই এই সম্পর্কিত তথ্য থাকবে। জানা গিয়েছে, দিন ও রাতের পার্থক্য নির্বিশেষে 24×7 কাজ করবে এই উপগ্রহ। যার জেরে ভূমিকম্পন বা তার থেকেও ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খবর আগেভাগে জানিয়ে দেবে শক্তিশালী রাডার অ্যান্টেনা।
ইসরো সূত্রে খবর, অরবিটে থাকা নতুন রাডার অ্যান্টেনাটি প্রথমে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকে বার্তা পাঠাবে। এরপর সেই বার্তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ভারত এবং আমেরিকা দুই দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
অবশ্যই পড়ুন: দিল্লি ফাইলস কবে দ্য বেঙ্গল ফাইলস হয়ে গেল আমার জানা নেই! দাবি অভিনেতা শাশ্বতর
প্রসঙ্গত, ভারত-আমেরিকা মহাকাশ অভিযান এমন সময় সফল হয়েছে যখন নয়া দিল্লির উপর শুল্ক নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসি। কাজেই এমন সময়ে ইন্দো-মার্কিন মহাকাশ মিশনটিকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |