বৈশাখী মণ্ডল, কলকাতাঃ যত সময় যাচ্ছে ততই জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাচ্ছে। জিনিসপত্রের সাথে সাথে দৈনন্দিনের চাহিদার জিনিসেরও দাম বাড়ছে। বাজারে সবজি থেকে ফলমূল সব কিছুর দাম রোজ একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। এই দাম বেশি হবার কারণে আমরা খুঁজি কোথায় একটু কম দাম পাওয়া যাবে। কিন্তু, এই কম দামের চক্করে আমরা নিজেদের শরীরে রোগ ব্যাধির বাসা বাধাচ্ছি।
বাজারে সব সবজির সাথে সাথে রসুনের (Garlic) দাম ও দিন দিন আকাশ ছোঁয়া হয়ে উঠছে। ভারতীয় বাজারে রসুনের দাম প্রতি কেজিতে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। কিন্তু এই বাজারে আবার ভারতীয় রসুনের সাথে সাথে চিনা রসুনও পাওয়া যাচ্ছে। যেই রসুন সাধারণত চীন থেকে আসছে সেটাই চীনা রসুন। এই চীনা রসুন বাজারে ২৫০ টাকা কেজি।
দাম কম চীনা রসুনের
দাম কম হবার কারণে এই চীনা রসুনের চাহিদা অনেক বেড়েছে বাজারে। কিন্তু, এই চীনা রসুন শরীরে কতো বড়ো ক্ষতি করছে সেটা হয়তো বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। চীনা রসুন শরীরের পক্ষে খারাপ বলেই কেন্দ্রীয় সরকার এই রসুন নিষিদ্ধ করেছে। এরপরেও চীনা রসুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটা নজর রাখতে বাজারগুলোতে পরিদর্শন করছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।
চীনের রসুনে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল
এই চীনা রসুন চেনার উপায় খুব একটা সহজ নয়, আবার খুব একটা কঠিনও নয়। সাধারণত চীনের মাটিতে যে রসুন চাষ হয় সেই রসুনকে চীনা রসুন বলা হয়। বিশ্বের সব দেশে চীনা রসুন আমদানি হবার পরেও এই রসুন নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন গবেষকরা। চীনের চাষীভাইরা এই রসুন চাষ করার সময় প্রচুর পরিমাণে সার ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে থাকেন। ফলে এই রসুন শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। এমনকি ক্যান্সার এর ঝুঁকি অব্দি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন চীনের রসুনে ছত্রাক রোধ করতে মিথাইল ব্রোমাইড ব্যবহিত হয়। ফলে সেই চীনা রসুন পেটে গেলে কিডনি- লিভার বিকল হয়ে যেতে পারে। আবার রসুনে কীটনাশের জন্য ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়।
চীনা রসুন চেনার উপায় | How to recognize Chinese Garlic |
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই চীনা রসুন সাধারণত সাদা অথবা গোলাপী রঙের হয়ে থাকে। ভারতীয় রসুন সেখানে হালকা হলদেটে রঙের হয়। ভারতীয় রসুনের দানা সরু হয়। সেখানে চীনা রসুনের দানা মোটা। আবার চীনা রসুনের খোসা অনেক মোটা হয়। সেই তুলনামূলক ভাবে ভারতীয় রসুনের খোসা পাতলা হয়।