কালী পুজো শেষ হতে হতেই শীত হাল্কা হাল্কা চলেই আসে। তারপর কিছুদিনের মধ্যেই জাঁকিয়ে পড়ে ঠান্ডা। এই শীতে সবথেকে কঠিন কাজ হচ্ছে স্নান সেটা সকালে হোক বা দুপুরে। আর এই শীতে স্নানের কথা শুনলে অনেকেই আঁতকে ওঠে। তাই সবাই গরম জলের সাহায্যে স্নান করতে চায়। তাই অনেকে গ্যাসে জল গরম করেন। কেউ আবার করেন ইমারশন হিটারে। এছাড়াও অনেকে গিজারেও জল গরম করে থাকেন। কাজেই গিজার (Geyser) ব্যবহার করা সঠিক না জানলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, সাথে ইলেকট্রিক বিলও প্রচুর আসবে।
যেকোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা
যেহেতু গিজারে জল আর বিদ্যুৎ দুটোই থাকে, সেহেতু দুর্ঘটনা যে কোনো সময় ঘটতেই পারে। চেষ্টা করবেন বদ্ধ জাগয়ার বদলে খোলা জায়গায় মানে বায়ু ঠিকঠাক ভাবে চলাফেরা করে এমন জায়গায় গিজার বসানোর। আবার বাথরুমে গিজার যখন চালু করবেন তখন সাথে অবশ্যই একজস্ট ফ্যানটা চালিয়ে দেবেন।
গিজার যাতে লিক না হয় সেদিকে নজর রাখবেন। সময় সময় গিজারটা সার্ভিসিং করাবেন। এতে গিজার অনেক বছর ভালো থাকবে। সবসময় গিজার চালিয়ে রাখবেন না। স্নানের কিছু সময় আগে চালিয়ে আবার জল গরম হয়ে গেলে বন্ধ করে দেবেন। গিজার বন্ধ না করে গিজারের গরম জল ব্যবহার করবেন না। এতে বিদ্যুৎ কম পোড়ার সাথে সাথে গিজার দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
গিজার চালানোর পর একটা নির্দিষ্ট সময় জল গরম হয়ে যায়। জল গরম হতে দেরি হলে বা জল গরম না হলে বুঝবেন গিজার খারাপ হয়েছে। আবার গিজার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে অর্থাৎ গিজার চালানোর পর জল গরম হয়ে গেলে নিজে থাকেই বন্ধ হয়ে যায়। যদি দেখেন জল গরম হয়ে যাবার পরেও গিজারের অটোমেটিক পাওয়ার বন্ধ হচ্ছে না দ্রুত মেকানিক ডাকবেন।