প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কলকাতাবাসীর জন্য বড় সুখবর! ফের নয়া স্বীকৃতির পালক জুড়ল বাংলার মুকুটে। বিমানবন্দর থেকে এবার আয়, লাভ এবং রেভিনিউ এর নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করল কলকাতা বিমানন্দর। পিছনে চলে গেল চেন্নাই, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু। প্রকাশিত হল সেই রিপোর্ট।
সেরার সেরা কলকাতা!
কলকাতা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর প্রভাত রঞ্জন বেউরিয়া একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ‘২০১৯-২০ সালের থেকে ২০২৩-২৪ সালে ২৩ শতাংশ বেশি লাভ করেছে কলকাতা বিমানবন্দর। ২০১৯-২০ সালে পরিসংখ্যানটা ছিল ৫৪৫ কোটি। তাই আশা করা যাচ্ছে ২০২৫-২৬ সালে কলকাতা বিমানবন্দরের লাভ ১০০০ কোটি পার করবেই।’
এছাড়াও রিপোর্ট মোতাবেক জানা গিয়েছে যে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালে, চেন্নাই বিমানবন্দরের থেকে আড়াই গুণ বেশি মুনাফা অর্জন করেছিল কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
লাভের নিরিখে এগিয়ে কলকাতা!
জানা গিয়েছে, কলকাতার যেখানে লাভের পরিমাণ ছিল ৬৭০ কোটি টাকা। যেখানে চেন্নাইয়ের লাভ ২৮২ কোটি টাকা। এছাড়াও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতার বিমানবন্দরের আয় হয়েছিল ১৫৭৮.৬১ কোটি টাকা। সেই জায়গায় খরচ হয়েছিল ৯০৯.১২ কোটি। এই সময়কালে চেন্নাই বিমানবন্দর ১২১২.৭৭ কোটি টাকা আয় করে।
সেখানে খরচ হয়েছিল ৯৩০.৮৩ কোটি টাকা। লাভের পরিমাণ ফলে চেন্নাইয়ের লাভ হয়েছিল ২৮১.৯৫ কোটি টাকা। তাই সব মিলিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের মুকুটে জুড়ল লাভের নয়া পালক।
বাড়ছে যাত্রীসংখ্যা!
এইমুহুর্তে দেশের অভ্যন্তরে বিমান পরিষেবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল কলকাতা বিমানবন্দর। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য। সমীক্ষার সূত্রে জানা গিয়েছে ডোমেস্টিক ক্ষেত্রে কলকাতা বিমানবন্দর করোনার আগে যাত্রীসংখ্যার মোট রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। তাই আশা করা যাচ্ছে ডোমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট বাড়লে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে।
অন্যদিকে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে প্রাথমিক রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে যে, কলকাতা বিমানবন্দরের রেভিনিউয়ের ৭৯ শতাংশ এসেছে ট্রাফিক থেকে। ফ্লাইট অবতরণ, উত্তরণ এবং পার্কিং চার্জ রয়েছে এর মধ্যে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ট্রাফিক থেকে রেভিনিউ এসেছে ১৫ শতাংশ। করোনার পরপরই এই পরিবর্তন সকলকে চমকিয়ে দিয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২.১ কোটি যাত্রী এবং ১.৫ লক্ষ ফ্লাইট কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি, হতে পারে রেলের বড় প্রকল্পের উদ্বোধন, কোথায় সভা?
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ১.৮ কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছিলেন। এমনকি এই সংখ্যাটার রেকর্ড ব্রেক হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই সময় এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছিলেন ২.৩ কোটি যাত্রী। অর্থাৎ হিসেব মিলিয়ে বলা যায় বিমানপিছু গড় যাত্রীসংখ্যাও ২০১৯ সাল থেকে বেড়েছে।
এই রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হলে তাও গোটা দেশে নজির সৃষ্টি করবে বলে দাবি বিমানবন্দরের আধিকারিকদের। আর এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্ণাটক এবং তৃতীয় স্থানে ছিল তামিলনাড়ু।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |