পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ মৌনী অমাবস্যা (Mauni Amavasya 2025 )বা মাঘ মাসের অমাবশ্যকে হিন্দু ধর্মে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে সেটা আরও বিশেষ। কারণ শনি ও বুধে মাইল এই দিনে অর্ধকেন্দ্র যোগ তৈরী করতে চলেছে। এই বিশেষ যোগেই প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের শাহী স্নানও হবে। যার ফলে এই দিনেই প্রায় ১০ কোটি পর্যন্ত পুণ্যার্থীর সমাগম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কবে ও কখন মৌনী অমাবস্যা পড়ছে? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ দেখুন।
মৌনী অমাবস্যায় বিরল যোগ | Mauni Amavasya 2025 Date, Time
এবছর ২৮শে জানুয়ারি ২০২৫ অর্থাৎ মঙ্গলবার পড়েছে মৌনী অমাবস্যা। শুরু হবে সন্ধ্যে ৭টা বেজে ৩৫ মিনিট থেকে। যেটা শেষ হবে পরের দিন অর্থাৎ ২৯শে জানুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যে ৬টা বেজে ৫ মিনিটে অমাবস্যা শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে কি কি করণীয়? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
মহাকুম্ভের শাহী স্নান
১৪৪ বছর পর আসে মহাকুম্ভ যোগ, ভাগ্য থাকলে তবেই এই বিশেষ সময়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য স্নানের সুযোগ মেলে। তবে সেটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে যদি শাহী স্নানের সময় গঙ্গায় স্নান করা যায়। আগামী ২৮শে জানুয়ারি থেকে ২৯শে জানুয়ারির মাঝে মৌনী অমাবস্যা তিথিতে শাহী স্নানের তিথি রয়েছে। তাই আপনি যদি প্রয়াগরাজ গিয়ে থাকেন তাহলেই অবশ্যই এই মহেন্দ্র ক্ষণে পুণ্যস্নান করতে পারেন।
মৌনী অমাবস্যা চলাকালীন করণীয়
পুণ্যস্নান: মৌনী অমাবস্যা চলাকালীন সময়ে মহাকুম্ভে না হলেও নিকটবর্তী গঙ্গা নদীতে স্নান করতেই পারেন। এতে আপনার অতীতে হওয়া পাপ ক্ষমা হয়ে যেতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।
মৌন ব্রত: এই সময় অনেকেই মৌন ব্রত পালন করে। মূলত নিজের আধ্যাত্মিক উন্নতি ও আত্মপোলব্ধির জন্যই এই সময় মৌন হয়ে থাকেন বা মৌন ব্রত পালন করেন বাড়ির মা ও বউয়েরা।
উপবাস: অনেকেই অমাবস্যা চলাকালীন উপবাস করে থাকেন। তাই মৌনী অমাবস্যার দিনেও তার ব্যতিক্রম করেন না। তবে এক্ষেত্রে যারা পারেন তারা একেবারে নির্জলা উপবাস করেন। আবার যারা সম্পূর্ণ উপবাস করে থাকতে পারেন না তারা শুধুমাত্র আলু ও শামা ক্ষীর খেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ সস্তা হবে মোবাইল, TV, ল্যাপটপ সহ এ সকল জিনিস! বড় ঘোষণা হতে পারে বাজেটে
পৈতৃক তর্পণ: মৌনী অমাবস্যায় অনেকেই গঙ্গায় পিতৃ তর্পন করেন। এছাড়াও অনেকেই এই সময় অশ্বত্থ গাছের তলায় মাটির প্রদীপে সর্ষের তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালান পূর্বপুরুষের স্মরণে।
দানধ্যান: মৌনী অমাবস্যা চলাকালীন দান কর্ম করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই অনেকেই মন্দিরে বা ধার্মিক স্থানে এই সময় দান কর্ম করে থাকেন। এই সময় আপনি চাইলে অভিযুক্তদের খাদ্য বা কষ্টে থাকে মানুষের জন্য আর্থিক দানও করতে পারেন।