মা ফ্লাইওভার নয়, বাংলার সবথেকে বড় উড়ালপুল কোনটা জানেন?

Published on:

sampriti flyover batanagar flyover

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই বাংলার সড়ক ব্যবস্থা উন্নতির পথে এগোচ্ছে। একের পর এক উড়ালপুল, ফুট ব্রিজ সহ রাস্তাঘাটের অবস্থা সময়ের সঙ্গে ততই ভালো হচ্ছে। তবে আজ কথা হবে কলকাতা শহরে এমন একটি উড়ালপুল নিয়ে যেটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন তো আবার অনেকেই হয়তো জানেন না। এই উড়ালপুলটি বহু মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

এমনিতে কিছু বছর আগে অবধি বজবজ, বাটা, ডায়মন্ড হারবার যাওয়া সকলের কাছে তীব্র যন্ত্রণার সমান ছিল। এই রাস্তাগুলি দিয়ে যাওয়ার নাম শুনলেই রীতিমতো গায়ে জ্বর আসত সকলের। কিন্তু একটি উড়ালপুল সকলের সেই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। এতদিন মা উড়ালপুল ছিল শহরের দীর্ঘতম ফ্লাইওভার। তবে এখন সেই তকমা চিনিয়ে নিয়েছে ‘সম্প্রীতি উড়ালপুল’। সম্প্রীতি উড়ালপুল চালু হওয়াতেও বজবজ, বাটা, মহেশতলা, পুজালির মতো পুর-শহর বদলে যাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই সব পুর-এলাকার অন্তত ১০ লাখ মানুষ সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন।

সম্প্রীতি উড়ালপুল

বাটানগর এবং বজবজকে তারাতলার সঙ্গে সংযোগকারী বজবজ ট্রাঙ্ক রোডটি প্রয়োজনের তুলনায় সংকীর্ণ, তাই ট্র্যাফিক জ্যাম রাস্তার একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য ছিল। এ সমস্যা সমাধানে বাটানগর ফ্লাইওভার নির্মাণের চিন্তা শুরু হয়। ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাটানগর উড়ালপুল তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

এরপরই এই উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। উড়ালপুল নির্মাণের টেন্ডার পাওয়ার পর উড়ালপুল নির্মাণকাজ করেছে এল অ্যান্ড টি কোম্পানি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তবে ফ্লাইওভারটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৫৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন। জিঞ্জিরাবাজার থেকে সোজা বাটা মোড় যুক্ত হয়েছে। এটি দুই লেনের উড়ালপুল। এর দৈর্ঘ্য ৭.৫ কিমি।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group