সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ট্রেনে চড়েন অথচ TTE-র সামনে পড়েননি, এমন মানুষ হয়তো খুব কমই দেখা যায়। পরনে সাদা শার্ট, কালো কোর্ট আর প্যান্ট পরে আপনার কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলো, আর আপনি ভাবলেন নিশ্চয়ই রেলের টিকিট পরীক্ষক! অথচ আপনি টিকিট না কাটাতে তাকে গুনলেন ফাইন!
এদিকে পরে বুঝতে পারলেন, তিনি আদৌ রেলের (Indian Railways) কেউ নন। আপনার কাছ থেকে জোচ্চুরি করে টাকা হাতিয়েছে। আসলে যাত্রীদের এই সমস্ত অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। আর ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের রুখতে শিয়ালদন ডিভিশনে বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আসল টিকিট পরীক্ষা কীভাবে চিনবেন?
সূত্রের খবর, এবার থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রত্যেকটি শাখায় টিকিট পরীক্ষককে একটি নির্দিষ্ট ব্যাজ পড়ানো হচ্ছে। আর এই ব্যাজটি দেখতে লাল রঙের, গোল চাকতির মতো। ব্যাজের মাঝে থাকবে সাদা রঙের ইংরেজিতে ও হিন্দিতে লেখা ‘ভারতীয় রেল’।
এমনকি ব্যাজটির ভিতরে থাকবে প্রতীকী ছবি এবং স্বাক্ষর। আর রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ব্যাজটি নকল করা দুষ্কর। তাই এবার থেকে কোনও ব্যক্তি যদি নিজেকে টিকিট পরীক্ষক বলে দাবি করেন, তাহলে আগে তার ব্যাজ দেখুন, আর পরেই তাকে টিকিট দেখান।

কেন এই ব্যাজ চালু করা হচ্ছে?
সম্প্রতি শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের দৌরাত্ম্য দিনের পর দিন হু হু করে বাড়ছে। অনেক যাত্রী না বুঝেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। হাওড়া, বালিগঞ্জ, বারাসাত সহ বিভিন্ন স্টেশনে ধরা পড়ছে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক।
আরও পড়ুনঃ GDP-র তুলনায় ঘাড়ে ঋণের বোঝা বেশি! বকেয়া ২৫% DA মেটাবে কী করে রাজ্য সরকার?
আসলে প্রতারকরা রেলের পোশাক পড়ে টিকিট পরীক্ষার নামে যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছে জরিমানা। আবার রেল কর্মী বা পুলিশকর্মীর পক্ষেও এই সমস্ত TTE-দের দেখে শনাক্ত করাও দুষ্কর হয়ে পড়ছে।
আর এই সমস্যা দূর করতেই শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা এই পরিচয় ব্যাজ চালু করছে, যা এখন থেকে প্রত্যেকটি টিকিট পরীক্ষকের ইউনিফর্মে লাগিয়ে দেওয়া হবে, যাতে যাত্রীরা খুব সহজেই বুঝতে পারে যে, কোনটি আসল এবং কোনটি নকল TTE।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |