সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এখনকার দিনে দাঁড়িয়ে জমি বিক্রি করা কিংবা জমি কেনা বড় ধরনের সিদ্ধান্ত। হ্যাঁ, আর যদি তা হয় পুরনো অর্থাৎ দাদু বা প্রপিতামহের রেখে যাওয়া জমি। তাহলে সমস্যা যেন আরো জটিল হয়ে ওঠে। অনেক সময় জমির (Land Record) লেনদেন আটকে যায় শুধুমাত্র রেজিস্ট্রির কাগজের অভাবে। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। পুরনো জমির খতিয়ান এবং রেজিস্ট্রি পাওয়া যাবে এবার এক ক্লিকে। হ্যাঁ, জানতে হলে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পুরনো জমি রেজিস্ট্রি কেন প্রয়োজন?
অনেক সময় পৈতৃক বা প্রপিতামহের সম্পত্তি বিক্রি করার সময় মালিকানার প্রমাণ দিতে হয়। আর সেখানেই হয় ঝামেলা। বিক্রির সময় জমি রেজিস্ট্রির কাগজের প্রয়োজন পড়ে। আর যদি সেটি না থাকে বা হারিয়ে যায়, তাহলে জমির রেকর্ড বা খতিয়ান দেখে মালিকানা যাচাই করা হয়।
কোথা থেকে পাবেন জমির তথ্য?
প্রথমে আপনাকে যেতে হবে সেই জমির আওতায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে। যেখানকার জমি আপনি খুঁজছেন, সেখানে থাকা পাটওয়ারি পুরনো রেকর্ড খুঁজে বার করতে আপনাকে সাহায্য করবে। এভাবে খুব সহজে জমির রেজিস্ট্রি পেতে পারেন।
কী কী তথ্য লাগবে?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, জমির কাগজ খুঁজে পেতে গেলে যে ডকুমেন্টগুলি লাগবে তা হল- খসরা নম্বর, দাগ নম্বর, জমির ঠিকানা এবং জমির ক্রেতা-বিক্রেতার নাম যদি জানা থাকে। এই তথ্যগুলি থাকলে অফিসে থাক্লা কর্মীরা খুব সহজেই জমির রেকর্ড খুঁজে বার করতে পারবে।
আবেদন কীভাবে করবেন?
যদি আপনার রেজিস্ট্রির কপি পেতে চান, তাহলে আপনাকে সাব-রেজিস্টার অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। সেখানে আবেদন করার জন্য যে ডকুমেন্ট গুলি লাগবে তা হল- পরিচয়পত্র হিসেবে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড, জমির সাথে সম্পর্কের প্রমাণপত্র, আবেদনপত্র এবং নির্দিষ্ট ফি।
আরও পড়ুনঃ ঘরেই হবে সর্পদংশনের চিকিৎসা, বিষ কাটানোর ক্যাপসুল তৈরি করলেন বৈজ্ঞানিকরা
এখন অনলাইনেও মিলছে সেই পরিষেবা
তথ্য প্রযুক্তির যুগে দাঁড়িয়ে এখন বহু রাজ্যে জমির খতিয়ান বা রেজিস্ট্রি অনলাইনের মাধ্যমে মিলছে। হ্যাঁ, এর জন্য রাজ্যের ল্যান্ড রেকর্ড পোর্টালে গিয়ে বা ‘Bhulekh’ পোর্টালে গিয়ে কিছু তথ্য দিলেই জমির রেকর্ড পেয়ে যাবেন। অনলাইনে আপনাকে জেলার নাম, মৌজা বা গ্রাম, খসরা এবং দাগ নম্বর, জমির মালিকের নাম, এই সমস্ত তথ্যগুলি পূরণ করলে কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে রেজিস্ট্রি কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
তাই পুরনো জমির কাগজ যদি না থাকে, তাহলে এখন আর কপাল চাপড়ানোর কিছু নেই। একটু ধৈর্য ও সঠিক প্রক্রিয়া মেনে চললেই খুব সহজে পেয়ে যাবেন আপনার পৈতৃক জমির খতিয়ান এবং রেজিস্ট্রির কাগজ।