সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তানের আকাশের যুদ্ধের মেঘ জমছে (India-Pakistan Standoff)। সীমান্ত বলুন বা আকাশ পথ কিংবা জলপথ, সবদিক দিয়েই চলছে হামলা। তবে এর মাঝেই ভারত সরকারের স্পষ্ট বার্তা – আমরা যুদ্ধ চাইনা! তবে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় কোন খামতি দেবো না।
গত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানের তরফ থেকে সব উস্কানিমূলক পদক্ষেপে নয়া দিল্লির হাওয়াকে আরও গরম করে তুলছে। বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
বিদেশ সচিবের কড়া বার্তা
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি এক প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন, আমরা বহুবার বলেছি যে শান্তি চাই। কিন্তু পাকিস্তানের কার্যকলাপ বরাবরই সীমান্তের উত্তেজনার আগুনেই ঘি ঢেলে দিচ্ছে। এবার তারা আঁটোসাঁটো মনোভাব নিয়ে সেনাদেরকে এগিয়ে আনছে, যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গড়ায়। এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় সেনার দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক মেজর জেনারেল সোফিয়া কুরেশি এবং মেজর জেনারেল ব্যোমিকা সিংহ।
সীমান্তে পাকিস্তানের হামলা ব্যর্থ!
প্রেস কনফারেন্সে মেজর জেনারেল সোফিয়া কুরেশি জানিয়েছেন, পাকিস্তান একাধিকবার পশ্চিম সীমান্তে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে। তারা পাঞ্জাবের বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে মিসাইল, লুইটার মিউনিশন এবং ফাইটার জেট ব্যবহার করেছে। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদেরকে মাঝ আকাশেই গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
আর সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো – পাকিস্তান নাকি লাহোর থেকে ছাড়া বেসামরিক বিমানকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে, যা সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী।
পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি
এদিকে সন্ত্রাসের দেশের তরফ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তারা দাবি করছে, ভারতের আদমপুরে S-400 এয়ারডিফেন্স সিস্টেম নাকি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে! মানে ভাবা যায়? যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এমনকি মেজর জেনারেল সোফিয়া কুরেশি স্পষ্ট বলে দেন, পাকিস্তানের আক্রমণের সুদে আসলে জবাব দিচ্ছে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তাদের ব্যাপক ক্ষতিও হচ্ছে। তবুও আমরা যুদ্ধ চাইনা।
আরও পড়ুনঃ দেশের মাটি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না! নয়া দিল্লির পাশে আরেক দেশ
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, সীমান্তে সেনা মোতায়েন এবং এয়ারস্ট্রাইকের চেষ্টা যুদ্ধের পরিস্থিতির দিকেই নিয়ে যাচ্ছে এই দুই দেশকে। এমনকি এও শোনা যাচ্ছে যে, পাকিস্তান নাকি পারমাণবিক হামলাও করতে পারে। তবে উস্কানি এবং মিথ্যাপ্রচার এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।